প্রাচীণ মানচিত্রে নাম সাইনাস গ্যাঞ্জেটিকাস
অর্থ দাঁড়ায় তার গঙ্গা উপসাগর ,
হিন্দু শাস্ত্র মতে নাম তার মহোদধি বিরাট জলাধার
পূর্ব পয়োধি নামে পূর্ব মহাসাগর ।  
মধ্যযুগে ছিল বঙ্গ সাগর , আধুনিক কালে এসে
সবাই বলে বঙ্গোপসাগর ,
উত্তর দিকে তার পশ্চিম বাংলা ও বাংলাদেশ
প্রচীন নাম গঙ্গারিডাই ,
ষোল টি জনপদে গড়ে ওঠে বঙ্গভুমি  
প্রচীন ইতিহাস দেয় তার সাক্ষী ।
ভারত মহাসাগরের অংশ সে উত্তাল জলধি ,
উঁচু উঁচু ঢেউ আছ রে পড়ে সৈকতে ;
যেখানে বিশাল বালুকাবেলা পাশে ঝাউ বন ,
সকালে সূর্যোদয় , সূর্যাস্ত দিনান্তে
বন বনানী পুষ্প মঞ্জরী নারকেল সুপারীর
সেই দেশে ছিলনা একদা মানব বসতি ;
ডাঙায় পশু পাখি , সাগর নদীর জলে
হাঙর কুমির মাছ, অপরূপ তার প্রকৃতি ।
অনুমান করে বলি বাঁশের ভেলায় ভেসে  
ষাট হাজার বর্ষ আগে অষ্ট্রাল নামের মানব প্রজাতি
এসেছিল বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ।
তারপর পায়ে হেটে তারা ছড়িয়ে পড়ে
গঙ্গারিডায়ের এখানে সেখান গড়ে লোকালয়
আজও আছে তারা সাঁওতাল বলি যারে ।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার
সবচেয়ে বড় মনোগ্রোভ বনভূমি সুন্দর বন
আছে বঙ্গোপসাগরের তীরে ।
লক্ষ কোটি বছর ধরে এ সাগর দিয়েছে পলি
জোয়ার ভাটায় নদী নালা খালে বিলে
বাংলার মাটি হয়েছে উর্বর, আজও তাই বাঙ্গালীরা
সোনালী ফসল ঘরে তোলে ।