আমাদের বাড়ীটা মহল্লার এক প্রান্তে ,
মেইন রোড থেকে খানিকটা দূরে , গলির শেষ মাথায় ।
বাড়ির পিছনে ফাকা , এখানে একসময় জলাশয় ছিল ;
এখন জল নেই , নোংরা আবর্জনায় ঠাসা ।
তারপর পরিত্যক্ত একতলা একটা বাড়ী ,
প্রায় প্রতি রাতে ঐ বাড়ী থেকে
নারীকন্ঠের আর্তানাদ ভেসে আসে ;
যেন মৃত্যু পথযাত্রী অসহায় রমনীর আর্তচিৎকর ।
দিনে রাতে পুলিশ বহুবার ঐ বাড়ী সার্চ করেছে ,
কিন্ত আজ পর্যন্ত রমনীর চিৎকরের রহস্যভেদ হয়নি ।
মানুষ এখন বাড়ীটাকে পেত্নীর আড্ডা বলে ,
আচমকা একদিন ভেসে এল পুরুষ কন্ঠের চিৎকার চেচামেচি ;
একক নয় অনেকগুলো কন্ঠ গান বাজনা হৈ চৈ ,
হঠাৎ পিস্তলের গুলির শব্দ টাশ টাশ টাশ ,
শুনা গেল নারীর সেই আর্তচিৎকার ।
মটরসাইকেলের শব্দ , তারপর সব নিরব ;
সকালে পুলিশ এল , উদ্ধার হল এক যুবতীর উলঙ্গ মরদেহ ,
গুলিতে ক্ষত বিক্ষত সারা দেহ ,
ছড়ানো ছিটানো ওয়াইনের বোতল ,বিয়ারের ক্যান ,
সিগারেটের পোড়া ফিল্টার ইয়াবার প্যাকেট ।
যুবতীর লাশ যে ট্রাকে তোলা হল ,
তার গায়ে লেখা ছিল সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টন ;
আমি বলি সমগ্র বাংলাদেশে এই তো যৌবন ।