একদিন পৃথিবীর বুকে ব্যথা হলে চলে এসো ,
খুব কুয়াশায় রেলের তীব্র আর্তনাদ মেখে আমরাও দুঃখী হবো,
আমরাও বুকে টেনে নেবো সব বিষাক্ত পণ।
নগরের পথেঘাটে মশালের ভীড়ে তুমি হয়তোবা ঠোঁট চেপে চুপিসারে-
চুপিসারে ভালোবেসে চলে যাবে গাঢ় নিস্তব্ধতায়;
এই কোলাহল ক্যাফেইন চেটে জেগে থাকবে শতাব্দীকাল,
পৌষ এলে পর উষ্ণ সব নক্ষত্রের প্রলোভন হারিয়ে দেবে সামাজিক বেড়াজাল,
অসভ্য উন্মাদ নগরে চার্চের ঘণ্টার সাথে সাথে অবনীল ধোঁয়াটে তামাশা শুরু হবে।
তখন জানালার কপাট খুলে দিও,
আঁধারের প্রতি বিষাক্ত চুমু খেয়ে ছুড়ে দিও অসীম জোনাকির ঝাঁক।
এইসব সামাজিক দূষণে তুমি বিপ্লবী হলেও পারতে;
আমাদের  নিকট নিঃশ্বাসে যেসব প্রেম বেঁচে আছে,
সন্ধ্যার পর মরে যাবে সব।
তার আগে গভীর আলিঙ্গনে মিশে যাও শরীরে;
যতসব উদ্ভট গন্ধ এসব অন্ধ ঘরে,
এ বুঝি মৃত্যু নয়, হতাশা নয়,
প্রেমিকার ঈষৎ সত্য প্রেম।
নিদারুণ অভাব এখনো তোমাদের নাগরিক দুয়ারে;
কিশোরীর চঞ্চল বৃষ্টিহীন চোখ থেকে ঝরে পড়ে স্বপ্ন।
ফুলদানিতে সাজানো স্বপ্ন নয়,
চাই শিশিরসিক্ত পবিত্র শিউলির কলরব,
আর নতুন চোখে ডজন খানেক বিল্পব।