বাম পাশেতে তরুলতা, ফুটেছে ফুল ডালে---
মল্লিকা তার চোখ খুলেছে গানের তালে তালে।
তারপাশেতে কনকলতাই ঝরেছে আজ ফুল,
ওই যে যেথায়, গাছের ডালে ফুটেছে বকুল।
সকাল বেলায় দূর্বাদলে জড়িয়ে পা দুটি,
কুয়োর পাশে উড়ছে টিয়া, আজ যে তাদের ছুটি।
বাম কনুইয়ে মুখটি ঠেকে দেখছি মিছিমিছি
একটু দূরেই নিম ডালে ওই শুনছি কিচিমিচি।


ডান পাশেতে আছে আমার আদুরে বাছুরছানা,
ছুটছে হেথায়, যাচ্ছে সেথায় নেইকো তার মানা।
গলার আওয়াজ আসে ছুটে, যেই তাকাতে যায়---
তাকিয়ে দেখি বাছুরছানা আমার পাশে নাই।
একটু দূরেই গাভীমাতা খাচ্ছে ছিঁড়ে ঘাস,
তার পাশেতেই মেয়েরা সব করছে পরিহাস।
একজন তার জোর গলাতে চেচায় হেকেডেকে;
বাছুরছানা ছুটল দেখি তাদের ওখান থেকে।


আগেতে আমার দূর্গা দেবী,কোনায় ভোলেনাথ
মেলার পাশে ছোট্ট সুরেশ আমে ডোবাচ্ছে দাঁত।
সাদামাটা মুখটি তার উঠছে বেঁকে বেঁকে---
মুখে ফুটেছে মুচকি হাসি, আম পাকাটি দেখে।
তার ওপারে বুড়ো বটে, ফেলেছে তার রোঁ ;
বটের তলায় শুকর ছানা করছে গোঁ গোঁ।
বটের ছায়ায় রাঙা রাস্তা চলেছে ওই দূরে
যাচ্ছে যেথায় মিলছে সেথায়, নদীর গানের সুরে।
দুইপাশেতে সবুজ ঘাস, উঠেছে আজ মেতে ;
স্বর্ণযুগে ধানের শিষ তাই, দুলছে ক্ষেতে ক্ষেতে।


পিছনফিরে দেখি আমি ভাদ্র আছে পড়ে---
আশ্বিন দেখি তার মাথাতে রয়েছে আজ চড়ে।
ভাদ্র জানাই আমি ওভাই, দূগ্গা দেখতে চায়
বলে আশ্বিন পারবি নেকো তুই যে আর নাই।
এখন আমি আমার আমেজ সামনে দেখ চেয়ে
দূর্গা বানাই শিল্পী যে তার, আসছে নেয়ে ধেয়ে।
আশ্বিন বলে ওরে ভাদ্র, একটা সুযোগ আছে---
থাকবি তুই আমার পিছেই, আমার কাছে কাছে
শুনে ভাদ্র আহ্লাদে আজ হয়েছে আটখানা,
বলছে সে যে হেকেডেকে নেইকো তার মানা।


বামে ডাইনে আগে পেছনে মাঝখানেতে আমি
চারিদিকেতে কাশফুলে আজ ভরেছে ভূবনখানি।
তাকিয়ে দেখার আহ্লাদে আজ হয়েছি মাতোয়ারা---
তারাও কি আজ খুশিতে আছে, দেখতে পায়নি যারা?