ইচ্ছে করে বলতে গল্প,
যানি সময় খুবই অল্প,
ইন্টারনেটের মরন ফাঁস,
জীবন করে হাঁসফাঁস ।
আয়না সবাই মাঠে যাই,
ব্যাট দিয়ে বল পেটাই,
মোবাইল টা বাড়িতে রেখে,
ফুটবল নিয়ে দৌড়াই মাঠে ।
না পাড়লে নদীর ধার,
আড্ডা জমাই জোড়তার ।


চলনা গিয়ে একটু দেখি,
ব্যস্ততা কে দিয়ে ফাঁকি,
কেমন করে রবি অস্তাচলে,
রং করে দেয় নদীর জলে,
সন্ধ্যা নামার আগের আকাশ,
বাজায় বাঁশি স্নিগ্ধ বাতাশ ।
রাতে জেগে হুতুম পেঁচা ,
বিশ্রাম নিচ্ছে হাঁড়ি চাঁচা ।

ভোড়ের বেলার শান্ত মন,
গৃহবধুর আনচান মন,
দিতে হবে জল দুয়ারে,
ঘুম ভেঙ্গে যায় আজান সুরে ।


মনটা বড় হাপিয়ে ওঠে,
যখন দেখি বর্ষা নামে ।
দাদুর গল্প যায় না শোনা,
ইন্দ্র - বজ্র - দৈত্য - দানা ,
পিলসুজের প্রদীপ জ্বলে না ঘড়ে,
এল.ই.ডি এখন রাজত্ব করে ।


অগ্রগতি উন্ময়নের চাপে পরে ।
প্রান টা ঔ বুঝি এই শরীর ছাড়ে
আসবে হয়তো এমন দিন ,
গাছেরা বলবে  বিদায় দিন ,
গ্রাম গুলো সব হচ্ছে বেঁহুশ ,
বাতাস সেদিন কিনবে মানুষ


অ্যান্ড্রয়েড আর ইন্টারনেটের চাপে
মনটা আর রয়না খাপে,
ইচ্ছে করে জাল কেটে
উড়ে পালাই দূর দেশে ।


সেথায় থাকবে না কোনো মোবাইল ফোন,
জ্ঞানের আলোয় ভরবে সবার মনের কোন ।
গাছ গাছালি পাখীর ডাকে ভাঙবে ঘুম ।
নগর সভ্যতা সেথায় প্রতিনিয়ত হবে খুন ।


কান্না আসে ভাবলে সেসব কথা,
শুধু শুধু মিথ্যা আশা আর একটু ব্যাথা ,
উল্টো পাল্টা লাইন মিলিয়ে লিখলাম কিছু
সত্যি বলতে চাই - ইন্টারনেট ছাড়ুক পিছু


লাগছে না ভালো আর লিখতে কবিতা ।
শেষ করতে চাই দিয়ে রবি ঠাকুরের কবিতা,


দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর,
লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর
হে নবসভ্যতা! হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী,
দাও সেই তপোবন পুণ্যচ্ছায়ারাশি,
গ্লানিহীন দিনগুলি, সেই সন্ধ্যাস্নান,
সেই গোচারণ, সেই শান্ত সামগান ।