কন্যাকুমারী শিলাসনে বসিয়া এক সৌম্যদর্শন ঋষি,
দেখিলেন ভারতের ইতিহাস, উত্থান পতন ও সৃষ্টি,
জ্ঞান চক্ষুতে খুলিয়া গেল ভবিষ্যৎ ভারতের খাতা,
জানিতে পারিলে তুমি জ্ঞান বিজ্ঞানময় ভারতের কথা ।


গুরুর নিকটে পেলে তুমি এক দৈব বাণী,
দূর হল সংশয় আর যত মনের গ্লানি ।
" শিব জ্ঞানে জীব সেবা " - নয় জীবে দয়া,
ঈশ্বর অন্বেষনে যাইতে হয়না কাবা কাশী গয়া ।
চারিদিকে জ্যান্ত দেবতা - অনাহারে শিশু ,
শুনাইলে প্রেমের বানী - তুমি এযুগের যীশু ।
ধর্ম নিয়ে দলাদলি, মারামারি আর রক্তারক্তি কেন ?
মানব ধর্ম ই পরম ধর্ম - এই সত্য যেন ।


সূর্যসম তোমার ছটা - তেজদীপ্ত ভাস্বর মুখ ,
ভারতের ঘনীভূত রুপ - অসহায়ের আর্তনাদে কেঁদেছে তোমার বুক ।
সমদর্শী ঋষি তুমি - তোমার নীকট নাইকো জাত পাত,
দেশপ্রেম , মানবতা, মানব কল্যানে করিলে প্রানপাত ।


সনাতন ধর্মের বিজয় কেতন - উড়ালে বিশ্ব মাঝে ,
হইলে তুমি মহামানব - কথায় নয় কাজে ।
সপ্তঋষির এক ঋষি - ছিলে ধ্যানাসনে,
প্রেমের টানে জ্ঞান এল - মানব কল্যানে ।
জ্ঞান , বিবেক , বৈরাগ্য নিয়ে হইলে বিবেকানন্দ ,
দেখাইলে - জ্ঞান ভক্তি যোগ কর্মের মেলবন্ধনেই আনন্দ ।
রাজনীতি , হিংসা আর ভারতের দুর্দিনে - তুমি ই পথ,
যানি না কবে অনুসরন করব তোমার দেখানো পথ ।
যুব সমাজে ভরসা রেখে শিখাইলে নব বেদ - এ দেহ নস্বর ,
জীবে প্রেম করে যেই জন - সেই জন সেবিছে ঈশ্বর ।
তোমারে করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা - তুমি প্রানসখা,
কবে যে পারব গুরু, তোমার চরনে সঁপিতে মোর মাথা ।