অবসান হল এক প্রাচীন শাষন যন্ত্রের,
প্রজাদের স্বার্থে হল সমাপ্ত রাজতন্ত্রের,
এক রাজার শাষনের পদানত না হইয়া
জনগন লইল 'গনতন্ত্র' মস্তকে তুলিয়া;


এল সংবিধানের প্রস্তাবনা - আরও কত শত বিধান,
জনগন লইবে এবার ভাল মন্দের নিদান,
স্বার্থলোভী ভন্ড নেতাদের নাহিকো অভাব,
মানুষের আবেগ বশীভূত করে শোষণ স্বভাব,
রাজনীতির মঞ্চে এল কত দাদা দিদি,
তাদের প্ররোচনায় হিন্দু মুসলিম লড়ছে দিবা নিশি,
গনতন্ত্রের ছত্রতলে বাসা বাঁধে রাজনৈতিক কীট,
উন্নয়নের ভাঁওতাবাজীতে জনগনের মাথায় মারে ইঁট,
'মিছরির ছুরি' দিয়ে খুন করে চলে মানবিকতা,
গনতন্ত্রের বেড়াজালে হারিয়ে গেছে বাক্ স্বাধীনতা ।


ছাত্র আজ বই খাতা ফেলে রাঙিয়েছে হাত খুনে,
চোর খুনি ডাকাতেরা বুক চিতিয়ে ঘোরে গনতন্ত্রের গুনে,
গনতন্ত্রের গনধর্ষক হচ্ছে জনপ্রতিনিধি, নেতা মন্ত্রী,
জনগন মনোনীত, জনগন কে পিষে ফেলে হচ্ছে গনতন্ত্রী ।


নাহিকো শিল্প, নাই কর্মসংস্থান - আছে কথাঞ্জলী,
মৃতপ্রায় কৃষি আজ - উন্নয়নে জলাঞ্জলী ।


তোলাবাজ মাফিয়াও আজ গনতন্ত্রী - দেখবে আরও কতো,
রাজনীতি ছাড়া তুমি ষড়যন্ত্রী, প্রেমিকেরা মুখ ঢাকে চোরের মতো ।
গনতন্ত্রের সংজ্ঞা আজ দিয়েছে তারা পাল্টে,
শাঁখের করাতে পরে পা ওষ্ঠাগত প্রান যে !


সারা রাজ্যে শান্তি নাই, সাধারন মানুষের ঘুম নেই,
শয়তান গুলোর এত বৃদ্ধি - মানুষের কী চোখ নেই?


সরকার বিরোধী স্বাধীন মতপ্রকাশে মার খেল এক ছাত্র,
রাজনীতির রং গায়ে লাগিয়ে মারল তাকে আর এক ছাত্র,
এই বাংলারই কী স্বপ্ন দেখেছিলেন রবীন্দ্র নজরুল নেতাজী,
এদের উপর সব আশা রেখে গেলেন স্বামীজি !


গনতন্ত্রকে গনধর্ষন করে চলে কিছু ষড়যন্ত্রী,
তারাই আজ দাদা দিদি - তারাই নেতা মন্ত্রী ,
জুতো খুলে মারবে যেদিন সাধারণ মানুষ এদের মুখে,
হয়তো সেদিন নিভবে আগুন জ্বলছে যেটা আমার বুকে,
রাজনীতির বেড়াজাল ভেঙ্গে এক হবে আল্লাহ ঈশ্বর,
বলবে মানুষ এক হয়ে - তোরা শালারা স্বার্থপর ।


যারা কেড়ে খায় এই বাংলার দশ কোটি মানুষের মুখের গ্রাস,
যেন লেখা হয় আমার রক্তে এই ষড়যন্ত্রীদের সর্বনাশ ।