কোনো এক উল্টো রাণীর উল্টো বুদ্ধির উল্টো দেশে,
চলে সব উল্টো রথে, উল্টো পথে উল্টো বেশে,
গনতন্ত্রের ভাষন দিয়ে গনতন্ত্র কেউ মানে না,
রাণীর বিরুদ্ধে কথা বললেই হবে তোমার জেল জরিমানা,
সে দেশে - দেশ বিরোধী স্লোগান হয় নাকি বাক্ স্বাধীনতা,
দেশ মায়ের জয়ধ্বনী, জাতীয় সংগীত - সেসব সাম্প্রদায়ীকতা ,
রাণীর শাষনে রমরমিয়ে চলে গনধর্ষণ নারীপাচার,
নীজ ধর্ম ছোটো করে সন্ত্রাসের মদত দেওয়াই নাকি রাণীর আচার ।


রাণী আবার প্রতিভাবতী, লেখেন কবিতা , আঁকেন ছবি,
এক কোটি দাম হয় যদি আঁকেন তিনি আঁকিবুকি,
কৃষকের লাসের উপর গড়ে ওঠে আহারের মেলা,
বেকারের চাকরী নেই, শিল্প নেই - চলছে রোজ নতুন খেলা,
সে রাণীর কাছে তুচ্ছ কোর্ট কাছারি, তোলাবাজ সেনা বাহীনি
উন্নয়নের নামে ভাঁওতাবাজী, তিনি গনতন্ত্রের সংহারীণি ।
ছাত্র ছাত্র কে মারে রাজনীতির পাশা খেলায়,
রাণী তখন মাতোয়ারা নতুন নতুন কীসব মেলায় ,
করে পাশ এম.এ, বি.এ বেকারের জীবন যাপন,
রাণীকে তেল মারলেই করবে তুমি দেশের শাষন,
সততার দাম জেল জরিমানা, প্রতিবাদের ফাঁসি,
আমরাও সব তেমন পাঁঠা - এই নিয়েই হাসিখুশি,
সাম্প্রদায়িকতা ছড়ালে তুমি রেখে বন্দুক অন্যের কাঁধে,
হিন্দু মুসলিম আজ শত্রু পড়ে রাজনীতির বাঁধে,
রাণীর অবহেলায় ফোঁকলা নীজ সংষ্কৃতির মাড়ি,
আরবী সংষ্কৃতি, বিদেশী চ্যানেল পৌঁছে যায় বাড়ি বাড়ি ।
চপ শিল্প, ভাঙ্গা সাইকেল নিয়েই আনন্দের রসমালাই,
মধ্যযুগীয় বর্বরতা আপন হল, পর হয়েছে গৌড় নিতাই ।
পায় না খেতে যারা সোনার ফসল ফলায় মাঠে,
তবুও রানীর হাসি মুখ অলি গলি রাস্তা ঘাটে,
পারেনা ধরতে পুলিশ সত্যি অপরাধী যারা ঘুরছে  সুখে,
চোরগুন্ডারাই দেশের নেতা - রাণী হাত মাথায় রেখে ।
মাঝে মাঝে রাণীর বড়াই - হ্যান করেগা ত্যান করেগা,
করেগা কচু - আসলে জনদরদীর ভেক্ ধরেগা ।


এসবই আমার কল্পনা আসলে আমি বদ্ধ পাগল,
আসবে একদিন সবার সময় - পৃথিবীটাও জেনো গোল ।
এতো এক উল্টো দেশের গল্প শুনলে এতক্ষন,
যদি কেউ এমন দেশের সন্ধান পাও তখন,
জানিয়ে দিও আমায় বলব সেই রানীর কথা,
হাসি মুখেই ততদিন থাকি যতই থাকুক মনে ব্যাথা ।