ঘোলাটে সূর্য হয়ত অস্তমিতের জন্য প্রস্তুত ছিল।
শুধুমাত্র দরকার আর একটু সময় ......
ষড়যন্ত্রের কলকব্জাগুলো ছিল খুবই স্বচ্ছল।
ঘন্টার কাঁটা হয়ত হয়ে পড়েছিল খুবই ক্লান্ত।
তাই মিনিট বা সেকেন্ড তার সাথে ....
বোঝাপড়া করার প্রয়োজন মনে করে নি।
কখনও মা রূপে মাসি ঘসেটি বেগমকে,
কখনও ষড়যন্ত্রকারী মীর জাফরকে বোকা করে
সফলতার স্বাদ পেতে চেয়েছিল শ্বেতাঙ্গরা।
তাদের সম্ভাবনা তত্ত্ব শূন্য হয় নি সেদিন।
তারা তো বিক্রি করে দিয়েছিল দেশমাতাকে,
শুধুমাত্র সেই ময়ূর সিংহাসনে বসার জন্য।
সিরাজকে মন ভোলানো গান শুনিয়ে তারা
করেছিল পর্দার আড়ালে পরাধীনতার নাটক।
আট ঘন্টার বিনিময়ে শ্বেতাঙ্গরা দু'শো বছর
কেড়ে নিয়েছিল ভারতবাসীর কাছ থেকে।
সেদিন সেই পলাশীর আম্রকাননের মাটির রং
রঞ্জিত হয়েছিল কিছু ভারতীয়দের তাজা রক্তে
যেটা প্রতিফলিত হয়েছিল গোধূলি আকাশে।
ভাগীরথীর স্বচ্ছ জল হয়ত হয়েছিল রক্তেরাঙা।
শুরু হয়েছিল এক ধ্বংসাত্মক, অত্যাচারিত
ক্ষুরধার বৈদেশিক, বিমূঢ় শাসন ব্যবস্থা
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত ধরে।
আর এভাবেই ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন
হয়েছিল পলাশীর প্রান্তরে স্বাধীনতার শেষ সূর্যাস্ত।