চলে গিয়েছ তবুও ব্যাকুল মন আজ বলছে
তুমি রয়েছ আমার প্রতিটি বইয়ের পাতার ভাঁজে,
তুমি রয়েছ আমার অফুরন্ত ভালোবাসায়
রয়েছ চেয়ে দূর থেকে আকাশের তারাদের মাঝে।
শঙ্খ ঘোষ'র আড়ালে ঢাকা 'চিত্তপ্রিয় ঘোষ'র
১৯৫৬ তে প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'দিনগুলি রাতগুলি'
এছাড়াও অনেক চিরস্মরণীয় কাব্যগ্রন্থে তুমি
খুব সুন্দর করে টেনেছ তোমার রং তুলি।
কখনো লিখেছ 'নিহিত পাতাল ছায়া','এখন সময়
নয়, কখনো লিখেছ 'মূর্খ বড়ো,সামাজিক নয়',
কখনো বা 'বাবরের প্রার্থনা', বা 'উর্বশীর হাসি',
আবার কখনো লিখেছ 'আদিম লতা গুল্মময়'।
তোমার আর্শীবাদে উদিত হোক নব সহস্রাংশু
তোমার স্বরে প্রতিবাদের কন্ঠে বললাম আনমনে,
সমস্ত মিথ্যা অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন মুছে যাক
বলবো না তাহলে 'মুখ ঢেকে যাবে বিজ্ঞাপনে'।
বর্তমানের অসভ্যতাকে তুমি কাঠগড়ায় তুলে
দিয়েছো খুলে আমাদের বিবেকহীন অন্ধ আঁখি
তাই তোমার ভাষাতেই ডাকতে চাই সব্বাইকে
একসঙ্গেই বলি 'আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'।
বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থের বিচিত্রময়তায় পেয়েছ তুমি
পদ্মভূষণ উপাধি ও নানানরকম পুরস্কার,
কখনো নরসিংহ দাস কখনো সাহিত্য আকাদেমি
কখনো স্বরস্বতী কখনো বা দেশিকোত্তম পুরস্কার।
তোমার কবিতাগুলো মিলেমিশে তৈরি করেছে
এক কঠিন বাস্তবতার গভীর সাহসিকতার সমুদ্র,
যার প্রতিটি ঢেউ আঘাত করেছে এ অবুঝ মনে,
আর কোরোনার ঢেউ এ ভেসে গেলে তুমি ইন্দ্র।
হাজার তারাদের মাঝে থেকেও অবশেষে
তোমাকে যেতে হল দূরের ঐ তারাদের দেশে,
সেই না ফেরার দেশে খুব ভালো থাকার আশায়
ছোট্ট ক্ষুদে জানাই আজ তোমাকে প্রণাম.....শেষে।
মৃত্যুর লেলিহান হিংস্র রূপ ছাড়বে না কাউকে
হয়ত কোনো ন্যায়ের অগ্রাধিকার পাওয়া কর্মদোষ,
সাহিত্যের পাতায় না হয় অমর হয়ে থেকো
কর্মে চির জীবিত ভালোবাসার কবি শঙ্খ ঘোষ।