যখন তুমি আমায় ইলিশ মাছ আর আতপ চালের গন্ধে
ভালোবাসা নামক শীত কাতুরে হৃদয়ে অল্প ছোঁয়াও আগুন
তখন আমি সকালের ফ্যানসে ভাতের ভ্যাপসা গরমে সুখ খুঁজে
সবচেয়ে দীর্ঘতম নিশ্বাসে, বিশ্বাসের ভীত মজবুত করি বহুগুণ।
যখন তুমি পথচলা মানুষের ভীড়ে আমার হাত দুটো আঁকড়ে ধরে
বটের ছায়ার মতো তোমার প্রাণবন্ত মায়ায় আমায় রাখো বেঁধে
তখন আমি উত্তর সন্ধানী মেরুর মতো আর্কষণ খুঁজে খুঁজে
পরিধি ছেড়ে বেরিয়ে হেঁটে চলি অসীমের পথে একাকী অবাধে।
যখন তুমি এক সহস্র শব্দের গভীরে আমাকে বারংবার পেতে চেয়ে
অজস্র গুল্ম লতার মতো জড়িয়ে ধরো আমার অনুতপ্ত হৃদয়খানি
তখন আমি এই শব্দময় শহরে বোবা শালিকের মতো নিঃশব্দে
লিখে চলি কিছু নির্বাক ছায়াছবির সংলাপের মতো মূল্যহীন লেখনী।
যখন তুমি সন্ধ্যার নিকষ কালো জলে হাতড়ে বেড়াও মিষ্টি মুহুর্ত,
স্বপ্ন দেখো, রং বেরঙের ফুলের পাপড়ি পড়বে ঝরে শূন্য থেকে
তখন আমি ভেদ ও অভেদের মাঝের বিশাল পাঁচিল ভাঙতে ব্যস্ত
গড়ব নতুন মানুষ,মিলেমাশে যাওয়া সমাজ, ভালোবাসা আগলে রেখে।


জানো প্রিয়,
আজ আমার কোনো পিছুটান নেই, আকাঙ্খা নেই, আবেগ নেই
নেই উদ্যোম সাহস,আমি বাঁচি না অন্যের দেওয়া স্বীকৃতি নিয়ে,
আমি আরামপ্রিয় নই, আমি সুযোগ সন্ধানী নই,বিশাল উদার নই
তবে আমি বাঁচার মতো বাঁচতে চাই, অনেকখানি ভালোবাসা দিয়ে।


আপনজন পত্রিকায় প্রকাশিত (২২/০২/২৩)