উনিশে জানুয়ারি, ১৯৩৫  সাল
সেদিন বেজেছিল শঙ্খ, উলুধ্বনি..
জ্বলেছিল একটা আশার প্রদীপ
রচনা হয়েছিল একটা সুন্দর কাহিনী।
মায়ের কোল আলো করে
এসেছিল ভারত মায়ের সন্তান,
মায়ের মুখকে উজ্জ্বল করে
রেখে গেল সে তার অমর দান।
সিটি কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে অনার্স
করেছিলেন নিজের শহর কলকাতায়,
অনেক নাটক করেছিলেন তিনি জীবনে
'তাপসী', 'নীলকন্ঠ' থেকে 'ঘটক বিদায়'।
নাটক থেকে 'শেষের কবিতা'র মতো শ্রুতি নাটকে
সীমাবদ্ধ ছিলেন না তিনি আর,
বাড়ালেন সিনেমা জগতের দিকে পা
অপুর অভিনয় নিয়ে 'অপুর সংসার'।
চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে
করেছিলেন তিনি ১৪ টি ছবি,
তিনি কেবল অভিনেতা ও নাট্যকার নন,
ছিলেন আবৃত্তিকার, চিত্রকর এবং কবি।
অপুর সংসার থেকেই তার পথ চলা শুরু
তারপর একে একে অজস্র সিনেমায় অভিনয়,
কখনো 'ঝিন্দের বন্দী', কখনও বা 'চারুলতা',
কখনো বা 'কোণী', কখনও বা ফেলুদায়।
অভিনয় যার প্রথম প্রেম, প্রথম প্রেয়সী,
তাই বাংলাকে দিয়েছেন অনেক উপহার,
মানুষ তাকে মনে রাখবে সারাটা জীবন
শুধু হারিয়ে গেল তার বাস্তব আকার।
'হীরক রাজার দেশ' থেকে তিনি
অবশেষে নিশ্চুপে গেলেন পঞ্চভূতের দেশে,
যাওয়ার আগে আশিদের গেলেন বলে
দেখো শুধু একবার 'বেলাশেষে'।
দেশ ও বিদেশের থেকে জীবনে
পেয়েছিলেন তিনি অনেক কৃতি ও সম্মান,
ছোট্টো ক্ষুদে আজ জানাই তোমাকে
"লহ মোর শতকোটি প্রনাম"।
বিষাক্ত ২০ তে(১৫ ই নভেম্বর)গেলে চিরনিদ্রায়
এভাবেই হলো শেষ তোমার জীবনের অধ্যায়,
ইতিহাস লিখবে স্বর্ণাক্ষরে তোমার নাম
অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।।


                --------