মাঝে মাঝে ভাবি   কেমন হতো চলে গেলে
          অচেনা অজানা কোন দেশে
দাঁড় বেয়ে সোনার তরী   ভাসিয়ে দিয়ে
          দিল দরিয়ার অপার কূলে।।
সঙ্গী করে নিও না হয়  তোমার  দিশা মাঝে
                 একটু আপন করে,
হাতটি ছুয়ে রইবে শুধু    বলব কথা তোমার সাথে
                   অবাক বিস্ময়ে।
মধ্যরাতের গোপন নেশা   হারিয়ে কায়া উগ্র মোহে
মগ্ন সুধা  স্নিগ্ধ পরশ   ছড়িয়ে আলো তমস পানে
             অহর্নিশি দিচ্ছে উঁকি।।


চাঁদ চুপে নিশী মরে   দিক ভোলে সনাতন পণ্ডিত
নেশা ঘুম উরে যায়      ধেয়ে আসে মধুকর  
        নিয়ে সুখ অনাবিল শান্তি।।


দূরে ভেসে চলে যাই  সাথে করে বকফুল
        মাঝি তোর কান্ডারী সই হে!
ঝড় উঠে বাগিচায়  দোলে ফুল নাজেহাল
             করিকাঠ পিছু চায়!
সাবধানে ফেলে পা   তিথিখনে মেলে চোখ
               গুটিসারে চলে ওই।।
নিস্তেজ শশিকলা    দূরে রাঙা মেঘটাকে
       ভিজিয়েছে নীল রঙা ভূষণে;
গতিপথ দুর্বার শঙ্কিত মায়াজাল    চেয়ে আছি
              নির্মেশ চমকিত পলকে।।
আগে বুঝি রিপু তারি ছলনায় মশগুল
দিয়ে ভারি কালঘাম    সয়ে নিয়ে গুটিকয়
             প্রেমঘন ইতিবাক সঞ্চয়।।
জোনাকিরা ছুটি চায়   মেলে শিখা গাঙময়
            শ্রাবণের ধুলোমাখা আস্তিন।
বেঁচে থাকে ওরা যেন    ইতিহাস মেলে ধরে
হিসেবের খালি খাতা বয়ে চলে রাতদিন।।
অবশেষে হোথাপার   নারীদেহে নিশ্চয়,
       মিশে গেছে নদী ঢেও;
মিহিসুরে কলতান  উজানে উঠেছে রব
               সম্মুখে বালুচর।
এগিয়ে সোহাগ করি   নবাবেশী প্রেয়সী
         প্রত্যয়ী শুভাবেশে স্বপ্নিল।।