আকাশে হালকা মেঘ করেছে। টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। মৃদু হাওয়ায় ঘাস গুলো, মাথা নাড়া দিচ্ছে হালকা। ডগায় ছোট্ট শিশির বিন্দু গুলো, তলতল করছে যেন। বিস্তৃত ঘাসিয়ারী তে একটা ছোট্ট বেঙ্চি। একলা বেঞ্চির ওপর, বসে আছে একলা একটি মেয়ে। রুপে লাবন্য। সেই ছুয়েছে যৌবনের দোড়গোরা।লম্বা টানা  চোখের কাজলের তলায় ফর্সা গালের অংশে লাল একটা ব্রন। কানের পাশে উড়ছে চুল। পিঠের চুল এলো করা।
শ্বেতশুভ্র সাদা দাঁত দিয়ে, কামড়ে ধরে লাল কোমল ঠোঁট। হাতে একটা ডায়েরী ছিলো। সেটা বেড় করে, লিখতে আরম্ভ করে কিছু। লাল পেনের কালি,তার, রক্ত দিয়ে লিখতে থাকে, একের পর এক লাইন। লাইনের সাথে সাথে, মেয়েটির প্রত্যেকটি অঙ্গ, খেলতে থাকে, নির্ধারিত ছন্দে।


এমন কোন সময়,
যখন একলা লাগে খুব।


বন্ধ চোখে,
নিজের মনে,


প্রেম সাগরে ডুব!


প্রেম!


না না।
বিশাল মায়া!


কষ্ট পেয়ে, দুঃখ পেয়ে, লাভ কী?
তার চেয়ে,


ভালোই আছি!


একলা কাটুক সময়।


যদি বা কোনো রাজপুত্তুর…


যদি বা কোন রাজপুত্তুর হঠাৎ করে আসে।


ঘোড়ার গাড়ি-
নেই বা এলো।
আসুক না কোন বাসে।


আমার জন্য ফুলের ডালা, সাজিয়ে দিক ঘাসে।


আমি না-হয়,
'না' বলব।


দেখি না,
সে কী করে!


আমার মনের দরজা খুলে,
ঢুকতে যদি পারে।।


নিজের মনেই হেসে ওঠে মেয়েটি। সে বুঝতে পারে যে, নিজের মনের মধ্যেই একটা দোলাচল। তার মন দুলছে হাওয়ার। হালকা হয়ে আছে এখন। হয়তো বা, সে-ই চাইছে হালকা করে দিতে। কেউ যদি উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে তাকে।
টিপ টিপ বৃষ্টিতে, একবার ওপরে তাকালো মেয়েটি। বৃষ্টির প্রত্যেকটা ফোটা, উপভোগ করতে চাইলো সে। তার শরীরের গরমে, ঠান্ডা জলের, মৃদু ছন্দের নৃত্য, তাকে জাগিয়ে তোলে। করে তোলে আরো উষ্ণ। ঘাসগুলো বেশ জোড়ে দুলে উঠলো একবার। যেনো বলল, মেঘলা দিনেও, রোদ আসছে। রোদ আসুক।