তোমার  জন্য বলতে পারি হাজারটা কথা ,
বলতে পারো হাজারটা পৃথিবী লিখতে পারি তোমার জন্য ।
তবে এই বলা আর লেখার মাঝে, কথাও যেন একটা শূন্যতা ,
ঠিক ওই খোলা আকাশটার মতো নীল শূন্যতা ।



সেই আকাশটাতেও , প্রতিদিন সূর্য ওঠে , সূর্য আস্ত যায় ,
তারারাও হাসে মিট মিট করে ।
তবে চাঁদ ওঠে না আর ।



জোত্স্না আর ভাসে না আমার গায়ে ,
আর দেখতে পাই না সেই  সুন্দর সোনালী পৃথিবীটাকে  ।
তবু যেন কথাও একটা আশা রয়ে গিয়েছে,
রয়ে গিয়েছে, চাঁদ কে ফিরে পাওয়ার  অবিরাম চেষ্টা ।



জানিনা চাঁদকে ফিরে পাবে কিনা আমার সেই আকাশ,
তবে এটুকু জানি ,মুরুদ্যানের খোঁজ-
মরুভূমির প্রতিটি বালুকানাকে তপ্ত করে দিয়েছে ,
প্রতি মুহুর্তে উতপ্ত হছে বাতাস ।



আর সেই উতপ্ত বাতাস বয়ে নিয়ে যাছে তোমার সেই উদ্দামকে,
আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে তোমার উত্তাপ ,
আর কদিন এই অগ্নেওগিরি চাপা থাকবে, জানিনা তাও।



তবে যেদিন তোমায় শেষ দেখা গিয়েছিল এলগিন রোডের ঘরটিতে  -
উত্তাপের সুরু সেখান থেকেই ।
আর ঠিক সেই সময় থেকে সুরু তোমায় ফিরে পাওয়ার চেষ্টা ।



চেষ্টা আজও শেষ হয়নি, ভবিষ্যতেও চলবে ।
সত্যি কথা বলতে,তুমি ফিরে এলেও চলবে ।



আমাদের এই স্বাধীন ভারতবর্ষে -
স্বাধীনতাটা বড্ড বেশী ।
তাই লোকে  স্বাধীন ভাবে ভাবতে চায় ,
স্বাধীন ভাবে খুঁজতে চায় ।



প্রচুর কমিসন তোমায় নিয়ে  বসেছে এবং দাঁড়িয়েছে ,
কাজের কাজ কিছুই হয়নি, সুধু হয়েছে তোমায় নিয়ে -
বড় বড় রিপোর্ট , আর পুনরায় খোঁজ করার অনুপ্রেরণা ।



আমরা খুঁজে চলছি, খুঁজে চলব -
আমাদের বিশ্বাস আমরা খুঁজে পাব তোমায়,
আমরা খুঁজে পাব সেই আজাদ হিন্দকে ,
আর তার নায়ককে ।



একদিন তুমি আসবে ,তুমি ফিরবে ,
আর সেই লাল কেল্লায়, সেই তেরাঙ্গার ছায়ায় দাঁড়িয়ে -
তুমি দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করবে -



আমি সুভাষ বলছি -
আমি সুভাষ বলছি -
আমি সুভাষ বলছি ।