পৃথিবী টা অনেক ছোট হয়ে গেছে ।
সপ্নগুলো দুমড়ে মুচড়ে ডাস্টবিন এ পরে রয়েছে -
সংখালঘু সম্প্রদায়ের ন্যায় ।

চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে -
আর খবরের কাগজ হাতে ভাবছি -
দেশের অর্থনৈতিক ভাবমূর্তি ফেরাতে,
সরকার আর কি কি ভর্তুকি ভরতে পারে -
নিজের পকেটে ।

ব্যাপারটা খুবই সোজা ,
ভর্তুকির রাশ টানতে টানতে সরকার নাকি-
দেওলিয়া ।
আর তাই সরকার আপনার বাড়ির গ্যাস ,
আপনার গাড়ির পেট্রলের খরচ,
আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজন আর বইতে পারছে না ।


তবে শিল্পপতিদের কোটি কোটি টাকার ঋণ-
সরকার বইতে পারে ।
এই দেওলিয়া সরকার খরচ করতে পারে-
লক্ষ লক্ষ টাকা মন্ত্রী আমলাদের সিকিউরিটিতে ।
দিতে পারে লক্ষ লক্ষ টাকা সাহায্য-
প্রতিবেশী দেশকে ।
এমন কি বিদেশী হাসপাতালের খরচ নাকি সরকার চালায়। **(বিস্তারিত ঘটনা সকলের জানা )

এবার বলুনতো আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
ইতিমধেই ঘোষণা করেছেন "টাকা নাকি গাছে ধরে না" ।
( হা হা )হাসলেন মাইরি, টাকা গাছে না ধরলেও, গাছের তলায় গজায় ।
এটাই সত্যি।
না হলে কি সুইস ব্যাঙ্ক ভারতীয় আমানত জমা রাখত ?
আর তা না হলে কি ভারতবর্ষে education loan এর সুদ -
personal loan এর চাইতে বেশি হত দাদা ।



একটু ভাবুন দাদা কোথায় আছেন।
আপনি এমন একটি গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক -
যেখানে আপনার ব্যবসার জন্য লোন নিতে  -
কমপক্ষে দুটো জুত কিনতে হতে পারে ,
আর জুত তো দুরে থাক ,
দেশে না এসেই ব্যবসার জন্য সব সুযোগ সুবিধা পেতে পারে -
"World Mart" এর মত অনেক বিদেশী সংস্থা ।



ইতিমধেই খবরের কাগজের দৌলতে জানা গেছে -
তথ্যের অধিকার আইনে একজন নাকি জেনেছেন  -
জাতিরজনক মহত্মা গান্ধী কে নাকি আর জাতিরজনক বলা যাবে না ।
কারণ, সংবিধান নাকি তার সীকৃতি দেয় না ।
বলুন তো !
তাহলে তো এবার বলা যেতে পারে বাবা কে বাবা
আর মা কে মা বলা যাবে না -
কারণ ,সংবিধানে তো কথাও ওই নাম দুটো লেখা নেই।



আসল কথা টি হলো, স্বাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীন সংবিধান -
থুড়ি, গণতান্ত্রিক ভারতবর্ষের  গণতান্ত্রিক সংবিধান এতটাই গণতান্ত্রিক -
যে মন্ত্রীরা যেকোনো সময় তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার বলে -
সংসদে যে কোনো বিল পাশ করাতে পারে ।



মাননীয় মন্ত্রীগণ আপনাদের কাছে আমার এতটুকু
বিনম্র অনুরোধ, দয়া করিয়া -
ঘরের খাইয়া বনের মোষ তাড়াইতে যাইবেন না ।
দেশর অভ্যন্তরীণ অবস্থা বিবেচনা করুন -
নয়তো এমন সময় আসছে-
যখন হয়ত কিছু না খাইয়াই
বনের মোষেদের সাথে বাস করতে হইতে পারে ।