তুমি আছ বলে শুতে যাবার আগে বাতিটা নেভাতে ভুলে যাই।
সকালের চা, দুপুর ও রাতের খাবার,
কাপড় ধোয়া, গরমে এয়ার কন্ডিশনার কিংবা ফ্যান,
উত্তরের হিমবাহের শীত থেকে বাঁচতে মাঝে মাঝে রুম হিটার
ইত্যাদি ইত্যাদি দৈনেক কত শত কাজ
তুমি আছ বলে আমি ও আমরা নিশ্চিত থাকি।
সেদিন কেউ যেন বললে তুমি ক্লান্ত; বিশ্রাম প্রয়োজন,
বিরতির মাঝে বিরতিহীণ মহাযাত্রার উর্দ্ধগামী ফলককে
মাত্রাযুক্ত অথবা অর্ধমাত্রাযুক্ত বর্ণের মত হতে চাও।
পৃথিবীর মাঝ দিয়ে বিষুব রেখার মত দু-খন্ডিত হল চৈতন্য।
কি হবে সে দুরহ চিন্তায় কঙ্কাল হয়েছে বুক
চিবুকের আড়ালে যে কটা তিল পুষ্ট হচ্ছিল
তাদের রোগাগ্রস্থতা অবস্থা
তুমি না থাকলে কি হবে এই সংসারে
কে চা-জল, অন্ন-খাবার রাঁধবে,
যত্ন করে ঘর-দোর, কাপড়-বিছানা পরিস্কার করবে,
কে দেবে গরমের প্রশান্তি, ঠান্ডার পরিত্রাণ।
ভেবে দেখেছ কি, তুমি ছাড়া কতটা অচল ভবিষ্যৎ,
আমিই শুধু কেন হয়ত এ সমাজ, এ দেশ-দশ
তোমার বিরতীতে থাকবে অদৃশ্যস্পর্শ বেদনায়।
অপরাধ যে আমার জাগেনা তা নয়,
নিজেকে প্রশ্নও করেছি; কেন এত নির্ভারতা তার প্রতি,
কিসের এত পরম বিশ্বাস তার উপর।
সে না হয়ে অন্যকেউ তো হতে পারত।
অথবা, আমি নিজেই সাশ্রয়ী হতাম;
তাহলে হয়ত হারানোর যে শঙ্কা
তা সংবরণ করতে পারতাম।
অন্তত তুমি বিরতী চাইতে না।