সুন্দরকে বাঁধার কি কোন ফ্রেম আছে,
অথবা, পরিমাপের কি কোন নির্ধারিত সূচক
অথবা, সুন্দরীর কি কোন বিশেষ প্রকাশ সীমানা আছে
যেখানে ঠুকরে পড়বে সকল দৃষ্টিরা
সীমানাবধি আবর্ত হবে সকল পছন্দগুলো এবং প্রকাশ পাবে সকল মুখগ্ধতা।
অথবা খুশির কি কোন সীমাবদ্ধ সীমানা গড়ে দেওয়া যায়
যাতে চাওয়াগুলো মিছিল, সংগ্রাম করলেও দেয়াল অবধি যাবার সম্মতি পাবে।


নিশ্চিত নেই! সুন্দর-সুন্দরী অথবা খুশি ও চাওয়াগুলোর কোন দলিল
বা কোন সীমাবদ্ধ কাঠামো অথবা অন্ত নেই-
তারা সৃষ্টি অথবা পৃথিবীর মতই বিমূর্ত।


তাহলে তাদের অন্তহীন সীমানা
বিমূর্ত সৃষ্টির দুরন্ত অভ্যাসের কারণে
না স্রস্টার অনবদ্য সৃষ্টিকে রহস্যময় করতে
না অনন্ত চাওয়ার জাগতিক জগতে পাওয়াগুলোর অতৃপ্ততা বাড়াতে
না অসুন্দর ও সুন্দরের মাঝে সাত্ত্বিক পার্থক্যের দ্বান্দিক সমারোহে
যাতে দেখার দৃষ্টি ও চোখগুলোতে নামবে উন্মুক্ত যুদ্ধ-
খুশির আশাগুলো পাওয়ার নেশাঘোড়ে হবে উদমাৎ।
ভালোলাগার সাথে ভালো না লাগার ঘটবে যুদ্ধ
অথবা সুন্দরকে পাবার জন্য ঝনঝনাবে তলোয়ার-বন্দুক।
প্রেম আর বিচ্ছেদের কাছে মনগুলো সাজবে বোবা
উপভোগ আর আত্মভোগের বিচ্যুতিতে সমাজে থাকবে কিছুটা অসমাজ্য
লিখবে, আঁকবে অথবা উৎসর্গিত হবে হৃদয়, সুন্দর-সুন্দরীর জন্য।
ঘটবে নায্য-অনায্য এবং স্থান পাবে
আলোচনা করার মস্তক গোলানো বিজ্ঞদের দিব্যজ্ঞান
আইনসভার সভ্যগণ কলমের কাজলে ঢাকতে থাকবে কলঙ্ক
অসীম আকাশের নীলে হারিয়ে যাওয়া চিলের মত উম্মুক্ত পৃথিবীতে
পারফেক্ট! এবং ইন্টারটেইনরা ঘরের দরজা খুলে খোলা বাজারের অর্থনীতির সু-নীতেতে
প্রতিষ্ঠিত করবে বিশ্বায়ন।
এবং আধুনিকায়নের জয়যাত্রায় যাত্রিকতা এবং প্রযুক্তির আশ্চর্য ঘোরটোপ গিলে
মাস্তি করবে সুন্দর-সুন্দরী, পছন্দ আর চাওয়াগুলো।


ভোলা- ১১/০১/২০১৮