ঋদ্ধিত-


নিকষ কালো মেঘেদের ভদ্রাগর্জন,
নিখুঁত শৈল্পিকতা দেখে নিথরদেহ, বরফ পাথর হোলো।
আগাগোড়াই খাঁটি মাটিদিয়ে গন্ধনিষাদ পুষ্পিতা----
চেয়ে দেখা ছাড়া যাকিছুই ছোবড়া করলে ঐ একটি বাক্যেই
আমি নগণ্যের অধম।
শীষদোয়েলের গরমগাদোল ভেজা কদমের লজ্জাভাঙ্গা জ্বালা
কতককাল জমিয়ে রাখা
বেহুরাগোধর অন্তর খুঁজছিল উত্তর----।
দিব্য জ্যোতি জ্বেলে
হোমাগ্নির স্তোতিতে দিলে মাদোল
সাথে মিশ্রিত সেতারের ঠুমরি তাল-
উপভোগ্য উপভোগ্য উপভোগ্য হে পরম ধাতা।
তোমার শৈল্পিক চিত্তে সরলবার্তা
বিশুদ্ধ স্ফুরণ চোখে-মুখে
দেহে দূর্বার অশথ ক্ষুধা- নিঃষ্কন্টক, প্রতিযোগিতাহীন--
আর আমি দৃষ্টিবিহীণ, ঠান্ডা লড়াইয়ের কড়াইয়ে।
মুদ্ধ হে ঋষি, আমার এতদিনের উত্তর নিবন্ধিত তোমাতে—
আমাকে আরাধ্য দাও, হব তোমাদৃশ্য চন্দনশুভ্র
আমাদের পাশ-ফুটো দু-দানা দাও
অনায্যের কোমল কোড় থেকে বেরিয়ে আসবার-।


করোনা কাব্যরস- ২৬।