তুমি দেখেছ কি তারে, যে গিয়েছে চলে?
পরনে লালা হাফ প্যান্ট, নিলাভ রঙ্গের শার্ট
আগুছালো চুল, হাতে কয়েকটি বই!
বড্ড অভিমানী আর চাপা স্বভাবের ছেলে,
কখনো বলেনি কষ্টের কথা, কখনো বলেনি ব্যাথার কথা,
আমি দূরে দাঁড়িয়ে দেখেছি তার বোবা কান্না
চোখের কোনে এক বিন্দু অশ্রু
কাঁপা কাঁপা হাত অতপর শান্ত নিবিড় ঘুম।


সেদিনও পরনে ছিল চিরচেনা জামা,
হাতের বগলে বই, খালি পা
অভুক্ত পেটে একা একা ছুটে চলা।
বলে ছিলো এসে খাবে ধোঁয়া উঠা ভাত
প্রিয় ডাল চচ্চরি, এক টুকরো লেবু!


ঘরের আঙ্গিনায় এক থালা ভাত,
মাছিরা করে খেলা রোগের সখ্যতায়,
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত! ফিরে না সে
পথ চেয়ে বসে থাকে কিছু উত্সুক চোখ,
সে আসবে, সে খাবে, উঠোনে পড়ে থাকবে
এটো ভাত, পাখীরা খাবে তৃপ্তি লয়ে!


শোকের পাথরে ক্ষয়ে যাওয়া হৃদয়ের দুটি প্রাণ
হাতের তালুতে সযতনে আগলে রাখা স্মৃতি নিয়ে
নিত্য বসা বারান্দার চৌকাঠে।


পরনে চির চেনা-
হাফ প্যান্ট, নিলাভ রঙ্গের শার্ট,
আজ যেন শক্ত জমাট পাথর!


০২/০২/২০১৪