সহসা ভীড় ঠেলে উঁকি দেয় সভ্যতা-
পুরোনো জীর্ণ দেয়ালে কোন যুগের শব্দের মিছিল,
খসে পড়া মাংস, বক্ষ বিদীর্ণ করে একটি চোখ,
একটি বালক, নতুনের খোঁজে, ইতিহাসের ভাঁজে
কি ছিল, গিয়েছে কি ক্ষয়ে শকুনের থাবায়
পঞ্চাশের বাংলাদেশে!!


সেদিনও সরু পথে ছিল ভীড়,
বাকরখানির আড়তে ভেজা সকাল,
দুপুরের শাহী মসলার ঝাঁজালো গন্ধ
সন্ধ্যায় প্রসাদের থালায় তাজা ফুল
শাঁখের আওয়াজে  অজানা পথিকের মুগ্ধতা।
রাতের আঁধারে অমাবস্যা নামে
কপাটে ঝুলে জংয়ে ধরা তালা,
নরক থেকে উঠে আসা প্রেত্মারা করে খেলা,
নিভে যায় প্রদীপের আলো,
প্রসাদে উড়ে মাছি ভন ভন।
পরের দৃশ্য সম্পূর্ণ অন্য রকম
অন্য জাতের , ভিন্ন পথের।


ট্রেন ছুটে চলে পশ্চিমে,
দেশীয় মুদ্রার অদল-বদল
ভাষা যায় বদলে, 'ছ' এর ভিতরে 'চ' !


কবি নেয় নির্বাসন অজানা গাঁয়ে-
পথের ধুলায় জমে থাকা কষ্ট
ফসলি জমিতে অনুর্বর মাটি,
টিনের চলে নেই পাখি, নেই ডাক
কেমন যেন গেছে বদলে আদিম সভ্যতা?


কবি হাঁটে বিস্তীর্ণ খোলা প্রান্তরে
সম্মুখে সুখ যদি ,ওপাড়ে ছোট ঘাট,
নৌকায় বিছানো সুখে, একটি গামছায় ঢাকা মুখ
সুখের প্রত্যাশায় নিত্য ভোরে আগমনী গানে-
'বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল' .
কালের সাক্ষী একজন আমি- একটি মেঠো পথে।


ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮