আমার ছন্নছাড়া জীবনে পাল উড়ালে না;
উত্তরের তুষারগলা নদী, শ্বেত পাথরে বসবাস
দুই প্রান্তের দুটি শ্বাস-প্রশ্বাসের খেলা
মাঝখানে কিছু মৃত মানুষের পিন্ড
অতপর সকালের আলোর আগমন।
কি করে যাই ভুলে?


তুমি তো জানো কুয়াশাচ্ছন্ন চোখে
বড্ড বেমানান ভারী গ্লাসের চশমা!
তিন চাক্কার সওয়ারে ভাঙ্গা রাস্তার ধূলো,
মরচে পড়া প্যাডেলে গর্মাক্ত চালকের চেষ্টা
উষ্ণ হাত কিন্তু দমে যায়নি!
খেলনার পুতুলে, খেলার ভাবটা জমে উঠেছিলো বেশ!


তিন চাকা থেকে চার চাকার নরম রোদে
পিঠ পুড়েছিলো বেশ খানিক,
এন্টিসেফটিক মলমে কাজ হয়নি,
ক্ষত থেকে ইনফেকশন!
সারাবার ছিলোনা পথ্য,
ছিলোনা ব্যান্ডেজের নরম বিছানা।


আজও ক্ষতে ব্যাথা হয়,
কষ্টেরা জমে পাহাড় গড়ে,
ঈশান কোনে ঘুড়ি উড়ায় কেউ,
লাটাইয়ের ঠিকানায় তখন অন্য মানুষ।
হোক না ক্ষতি কি?
আমরা তো দেখি ঘুড়ি!
লাটাইয়ের কি দরকার?


০৫/২৮/২০১৪