বনগাঁ রেল স্টেশন!
মাঝে মাঝে কোলাহল,
ট্রেন আসে ট্রেন যায়, কাক ভেজা সন্ধ্যা,
বেঞ্চিতে বসে থাকা আমি, নিঃসঙ্গ একলা।
কাঁধের ঝুলায়ে জমে থাকা হাজারো কবিতা
অপ্রকাশিত শব্দ মালা, প্রকাশকের দোয়ারে নাড়ে কড়া,
অপেক্ষার প্রহরে অকবিদের ভিড়ে
ধূমায়িত চায়ের কাপে উঠে ঝড়
অশালীন কাব্যের গণিকালয়ে।
কবি, ফিরে যাও বনগাঁ রেল ষ্টেশনে।


সেদিন সন্ধ্যাটা ছিল নিবু নিবু আলো।,
লোডশেডিং আড়ালে অচেনা এক মুখ,
ভেবেছিলাম, হয়তোবা ক্ষুধার টানে
হাত বদলানো কোন অভুক্ত দেবী,
আচমকা কাঁধে রাখে হাত!
কবির মোটা ফ্রেমের চশমায় ভেসে উঠে মুখ
ত্রিশ বছরের পুরোনো দুটি চোখ।


পানজোড়া ব্রিজের রেলিং এ দাঁড়িয়ে থাকা
কোনো এক বিকেলের স্মৃতি,
একদল নীল পোশাকি তরুণীর উচ্ছলতা
পেছনে ফিরে তাকায় একজন
হয়তোবা ভালো লাগার টানে।
কখনো জমিদার বিল্ডিঙের পাশে,
কখনোবা শানবাঁধানো পুকুরের ঘাটে,
নীরব ভালোবাসা বড়ই অদ্ভুত,
মনের কথা মনে বাঁধে বাসা।


কবির সেন্ট নিকোলাস, জমিদার বাড়ি
পুকুরের ঘাট হয় ক্ষতবিক্ষত,
ইতিহাসের পাতার আছে শব্দটি
ছিল বলতে বড্ড কষ্ট হয়,
যেমন কষ্ট হয়েছিল না দেখার কৌতূহল!


ট্রেনের কামড়ায় মুখোমুখি দুজন,
মাঝ খানে ত্রিশ বছর,
এখন, কবির হাতে কলম
দেবীর হাতে নোটবুক,
দুটি কথা, দুটি লাইন,
"এসো বাঁধি ঘর।"