বন্ধু নীল প্রায়ই বলত,
আয়না মন্দিরে যাই;
দেখবি মনটা ভালো হয়ে যাবে;
মা দুর্গার  আশীর্বাদে, তোর মনের ক্ষত সেরে যাবে।


বড় আশা নিয়ে, মন্দিরের বাইরে
দাঁড়িয়ে আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি,
পুজোর থালা হাতে পুজারী,
ধূপ-ধূয়ো, কীর্তন , খোল, মন্দিরা,
উলুধ্বনি আর আশীর্বাদের প্রসাদ।
বড্ড সাধ জাগে, যাই প্রসাদ নিই, কির্তন  করি।
না যাওয়া হয়নি;
আমি যে বিধর্মী!


আহম্মেদ রফিক ভাই বলেছিল-
মসজিদ হলো শান্তির জায়গা;
আমিও তাই জানি,
জুম্মাবারে ছুটে গেলাম বায়তুল মোকাররম মসজিদে;
হাজারো মুসল্লীর মিলন মেলা
সবার গায়ে শুভ্র পোষাক, টুপি, পিতা-ছেলে, ভাই-ভাই
এক লাইন, সেজদা, দোয়া, শান্তি বিনিময়
অবশেষে আজানের সুমধুর ধ্বণি।
যেতে চাইলাম শান্তি নিতে;
না যাওয়া হয়নি;
আমি যে বিধর্মী!


গির্জার  মিনারের ঘন্টার আওয়াজ
প্রায়ই কানে ভেসে আসতো।
বড্ড ভালো লাগে,
বন্ধু কবি ভিক্টর শোনালো
পরম শান্তির কথা।
রোববার সকালের খ্রীস্টযাগে চলে গেলাম,
দুর থেকে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ নয়নে দেখি;
বাইবেল পাঠ, সারমন, ধূপারতি, গান
যীশুর ক্রুশীয় মৃত্যুর বর্ণনা,
এব্ং প্রসাদ বিতরণ।
খুব যেতে ইচ্ছে করে,
প্রসাদে যীশুর ভালোবাসা নিতে মন চায়!
না যাওয়া হয়নি;
আমি যে বিধর্মী!


আজ ধর্ম আমাকে বিধর্মী করে রেখেছে!
অথচ আমরা ধর্ম বিশ্বাসী এক রক্ত মাংসে গড়া
মানুষ!