তখন পাখীগুলো ঘুমাইনি,
অসভ্যতার সীমারেখা ছাড়িয়ে, ঘুম ঘুম চোখে
এদিক ঐদিক তাকিয়ে, বুঝে নেয় নিজের
ভালোবাসার সীমানা!
মোরগগুলোই বা বাদ যাবে কেন?
আড়মোড় ভেঙ্গে কর্কশ কণ্ঠে বজ্র আওয়াজ তুলে;
বকনা বাছুরগুলো সারা রাতের অস্থিরতা কাটিয়ে
চেয়ে থাকে পথপানে-
কখন আসবে গোয়ালা?
মুখে জুটবে গোয়ালার হাড় কিপ্টে হাত ফসকে
জমে থাকা দুধের শেষ বিন্দুটুকু!


এমনই একটি সময় গোলাপী-
গায়ের সকল ব্যাথা জলাঞ্জলী দিয়ে
জীবন যুদ্ধে নেমে পড়ে;
বাসন মাজা,ঘর পরিস্কার, চুলা জ্বালানো
নাস্তা, এর ফাঁকে পড়ে নেয় নামাজ।


একটা সময় একে একে
প্রাতঃরাশ সেরে চলে যায় কাজে।
গোলাপী আবার একা
মুক্ত আকাশের নীচে তালাবদ্ধ এক বন্দীনি!।
দুপুরের খাবার, রাতের খাবার তৈরী
ঘর মোছা, ঝাড়ু দেয়া, খাওয়ার  টেবিল তৈরী,
এভাবেই চলে যায় সারা দিন
মনেই নেই সে খেয়েছে কি-না!


আবার রাত বাড়ে
পাখিগুলো ঘরে ফেরে
বকনা বাছুরগুলো আটকা পড়ে খোয়াড়ে,
মো্রগগুলো দুর্গন্ধের বাসরে
অন্দ্রাবণতঃ ভাবে বসে থাকে।


গোলাপীর রাতের খাবারের সময় হয়,
প্রতিদিনের মতো হাড়িতে পড়ে থাকে
এক মুঠো এঁটো ভাত!


গোলাপীর ক্ষুধার যন্ত্রণা মিটে না কোন দিন।


০৮/০৩/২০১৩