আশ্চর্যের কোন সীমানা বা পরিসীমানা নেই!
কেঊ পায়ের ধূলো চেয়েও পায় না,
আর,
আমরা! না চেয়েই পাই,
প্রতিদিন প্রতিক্ষণ,


জলিল মিয়া, এক পা সামান্য  খোড়া
বাকীটা অভিনয়, পঙ্গুত্বের অভিনয়,
স্ত্রী জাহেদা তাকে ঠেলা গাড়ীতে ঠেলে ঠেলে
ভিক্ষে করে,
ফার্মগেট অভার ব্রিজের নীচে নিত্য বসে ভিক্ষে করে।
জাহেদার গায়ের রঙ্গটা অবশ্য ময়লা ছিল না,
প্রতিদিন মানুষের পায়ের ধুলো
তাকে সামান্য ময়লা করে দিয়েছে।


জলিল মিয়া আধ পঙ্গু, আধখুরা!
জাহেদার একদিকে ভালোই হয়েছে
আধখুরা স্বামীর বাচ্চা-কাচ্চার ঝামেলা নেই
দুটি পেট ভালোই চলে যায়
শুধু চলে না জীবনের ভাগ্যের চাকা।


বিশ বছর আগের কারওয়ান বাজারের
সেই ব্রিটিশ আমলের ব্রডগেজ রেললাইনের উপরে
ছেঁড়া প্লাষ্টিকের বস্তিটা, আজও তেমনি আছে।
রাতে সরকারী বাতির আলো
আর, দিনে আল্লার বাতির আলোতে
চলে যায় দিন, মাস, বছর।


আজ, আকাশে ভারী মেঘ করেছে
সন্ধ্যের আগেই বস্তিতে ফিরেছে দু'জন।


রাত গভীর হয়, বাড়তে থেকে বৃষ্টির বেগ
বস্তির চারিপাশে পানি থৈ থৈ
জাহেদার মনে ভরা জোয়ারের বান ডাকে!
রাত যত গভীর হয়
জলিল মিয়ার অসভ্যতার মাত্রাটাও ততই বাড়তে থাকে।


০৮/০৮/২০১৩