মেয়েটির পরিচয় কেউ জানে না!
লাশ কাটা ঘরে পড়ে আছে তার নিথর দেহ,
কেউ একজন ঘরের নিভু নিভু বাতির আলোয়
কেটে-কুটে, এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!


পাশেই  ছিলো কিছু লোক,
হতে পারে পুলিশ, ম্যাজিষ্ট্রেট কিংবা মানবাধিকার কর্মী।
কেউ জানে না কে সে?
হিন্দু, খ্রীষ্টান, মুসলিম না-কি বৌদ্ধ?
কন্যা-জায়া নাকি জননী?
না, কেউ জানবে না কে সে!
আজ সে শুধু অজ্ঞাত বেওয়ারিশ এক লাশ।
কারও চোখে পতিতা, কারও চোখে অসহায় নারী,
আবার কারও চোখে প্রেমিকের হাত ধরে পালানো
মা-বাবার আদরের এক মাত্র কন্যা!


হতে পারে মেয়েটি এসেছিল
কোন এক নিভৃত পল্লী থেকে।
পঙ্গু বাবার ঔষধের টাকা ও
ছোট ভাই-বোনদের মুখে দু'মুটো অন্নের
জোগান দিতে বেছে নিয়েছিল গার্মেন্টস কর্মী জীবন!


এভাবে দিন-মাস-বছর
জুটে যায় বন্ধু, বন্ধু থেকে প্রেমিক
প্রেমিক থেকে প্রিয় একজন।
এভাবেই সুখের ভেলায় ভাসতে ভাসতে
চলে যায় সীমান পেড়িয়ে বহুদুর!
অচেনা এক পথ তাকে টেনে নিয়ে যায়
গলি থেকে গলিতে!
কিভাবে একদিন কাঁটা তারের বেড়া টপকে
নতুন আলোকে আলিঙ্গন করার মুহুর্তে
জ্ঞান হারিয়ে ফেলে!


তার পর আর কিছু মনে নেই!


০৮/১২/২০১৩