(কবিতা বলা চলে না। এ একান্ত আমার মনের অভিব্যক্তি বলতে পারেন। গত পরশু প্রথম আলোতে কিছু ছবি দেখে তাতক্ষনিক কিছু মন্তব্য জুড়ে দিলাম। আজ তা এখানে প্রকাশ করে দিলাম।)


১। ফেলানীর বাপের আক্ষেপ


দুটি হালের বলদ ছিলো
গত ঈদে বিক্রি করে দিয়েছি,
কিছু বাড়তি টাকার আশায়,
জমিজমা তো কত আগেই
পদ্মার পেটে চলে গ্যাছে!
বাকী ছিল ভিটেমাটি,
তাও নিয়ে গ্যাছে মহাজন দেনার দায়ে!
ফেলানীর মার শেষ সম্বল দুটি বালা
তাও বিক্রি হয়ে গ্যাছে!
বাকী ছিলো ফেলানীর নাকের দোল!
বিক্রির সেই টাকা আমার মাথায় নিচে
আলুর পরতে পরতে
আমি আরাম করে শুয়ে
ভাল দেশের স্বপ্ন দেখছি।
কিন্তু অচল দেশে স্বপ্ন যে বড় বেমানান!
এই কথা কি রাজনীতির ন্যাড়া জন্তুরা বুঝে?


২। হে আমার অভাগা দেশ


এই কথা কারে বুঝামু কও?
দেশের আহম্মকের দলেরা
এই গরীবের জন্য যুদ্ধে ব্যাস্ত!
ক্ষমতা দখল করে, এই মেয়েটিকে ৫০ পয়সা
ভিক্ষে দিবে, আর মেয়েটি এক টুকররো রুটি কিনে খাবে।
কে জানে হয়তো ঘরে রয়েছে আসুস্থ বাবা/মা
অনাহারী দুধের শিশু!
ওরা ক্ষ,অতা নিয়ে আমার, আপনার জন্য
বিদেশ থেকে কাড়ি কাড়ি ডলার আনবে,
সেই সুখের আশায় দেশ জ্বলছে!
একদিন হয়তো অন্ধ মেয়েটি
খাবারের পরিবর্তে দেশ পোড়া ছাই খাবে!