হারুনের ছয় বছরের কন্যাটি প্রায়ই আবদার করে;
'বাবা, আমি কোন দিন কাবাব খাইনি, আজ নিয়ে আসবে?'
হারুন ফ্যাল ফ্যাল করে তাখিয়ে থাকে,
ছোট মেয়েটির দিকে।
এভাবে আশ্বাসের প্রহর গুনে মেয়েটি।


রিক্সা চালক হারুন
ভাড়া রিক্সার দায় মিটিয়ে,
কখনো ফিরে সওদা নিয়ে
আবার কখনো বা খালি হাতে!
মেয়েটি প্রায় রাতেই না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে
এক টুকরো কাবাবের আশায়!


বাইরে আজ হরতাল;
মেয়ের স্কুল না থাকায়
আজ কাবাবের আবদারের মাত্রাটা যেন বেড়ে যায়,
হারুনের প্রিয়তমার শত বাঁধা উপেক্ষা করে
বেড়িয়ে পড়ে ফাঁকা রাস্তায়!


মেয়েটি হাত ধুয়ে বসে পড়ে
শুন্য থালা হাতে নিয়ে।
সকাল গড়িয়ে দুপুর-সন্ধ্যে,
অতপর রাতে খরব আসে,
গান পাউডারের আগুনে ঝলসে যাওয়া
হারুন মিয়ার খবর।


কি নির্দয় পৃথিবী!
হারুন আজ নিজেই পুড়ে কাবাব হয়ে আছে!


১১/১০/২০১৩