গারো পাহাড়ের গাঁ ঘেষে চলতে গিয়ে
তোর সাথে দেখা হয়েছিল পনের বছর আগে!
প্রসস্থ জল-বালুময় তোর গাঁয়ে আমি হেঁটেছি
পায়ের তলায় তপ্ত বালু, আকাশে ঝলমে রোদ
আমি রৌদ্রস্নানে তৃপ্ত এক কবি।


গারো পাহাড়ের মেয়েটি
পরনে তার দকমান্দা, মাথায় পাখির পালক,
আর দু'চোখ ভরা ছিল স্বপ্ন
একটি গাছের গুঁড়ি, বিরিশিরি বাজার
সন্ধ্যের পথে উনুনে অভুক্ত ভাতের হাড়ি।


একদিন এই সুমেশ্বরীরের বুকে, ভারতের বিজয়পুরের
পাহাড়ী ঢল নামে, ক্ষরস্রোতা হয় নদী
ভেসে যায় গ্রাম, ভেসে যায় চেনা মানুষের স্বপন!
আবারও স্বপ্নেরা দানা বাঁধে
নদীর বুকে ভেসে আছে পাহাড়ী গাছ
আঁকড়ে ধরে জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখে।


রাণীখং পাহাড়ের পাদ্রী হাউজের নীচে
এখনো খং-এর জলে পরীদের
জলকেলীর উত্সব বসে।
ঁসোঁ সোঁ ধ্বনিতে কেঁপে উঠে বুক
অজানা আশংকায় কাঁপে পুরনো পাহাড়
ঈশ্বরের জয়োল্লাসে মাতে গারো পাহাড়,
বালুময় সুমেশ্বরী
পাহাড়ের পথে দকমান্দা পরা মেয়েটি।


০১/১৫/২০১৪