বর্ণমালাগুলো সাজানো ছিলো আলমারির তাকে;
স্কুলের সোনামনিরা রোজ তাকিয়ে থাকতো,
আমি মুগ্ধ নয়নে তাদের দেখতাম
দেখতাম তাদের ভালোবাসার দৃষ্টি!


আমি জানি, বর্ণমালায় কী লুকিয়ে আছে,
আমি জানি, বর্ণমালার যাদুর বাঁশির সুরে কী মমতা আছে,
আমার সোনার বাংলার সুধা পান করে
যে শিশুটি বেড়ে উঠছে, সেও জানে
আমার বর্ণমালা আমার মা, আমার ভালোবাসা।


একদিন হায়েনাদের রক্ত চোখের আগনে দগ্ধ হয়
এক একটি বর্ণমালা!
না, বর্ণমালাগুলো ক্ষয়ে যায়নি,
পিচাশের অট্টহাসিতে বর্ণমালার ভীত আরো শক্ত হয়ে
বিশাল অট্টালিকায় নেয় রূপ।
ছাত্র-যুব-কৃষান-মজুর এব্ং গর্জে বর্ণমালা!
গর্জে উঠে দুধের শিশু
একটি মায়ের জন্যে, একটি ভাষার জন্যে।


অতপর যবনিকায় জল্লাদের প্রস্থান!
আবার সোনার বাংলা ভরে যায়
আমার সোনার বাংলা বর্ণমালার ধ্বনিতে।


০১/২৭/২০১৪