একদিন এই মিছিলে আমিও ছিলাম,
ছিলো শ্রাবণের অঝোর ধারা,
গারো পাহাড় থেকে খাসিয়া পুঞ্জি,
মারমা থেকে চাকমার পাগলা বাঁশি!


আমার চারপাশে ভীর করে দকমান্দা পড়া উচ্ছ্বলতা
মিছিলে-শ্লোগানে আদি সুরের গান
আদিবাসীদের বাদ্যযন্ত্র ঢোল, নাকাড়া, মাদল, রাহাড়
শান্তির বাণী লয়ে নাচের ঢ্ং-এ
নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির বলয়ে
আমায় শোনায় শান্তির বারতা।
আমি বুঝি ওদের ভাষা কিন্তু
ঈশ্বর বুঝেন এই ভাষার যাদু।


আমার ক্যামেরার সাটার পড়ে দ্রূত,
সভ্যতার মনি কোঠায় ঠাঁই না নিলেও
ক্যামেরার মন মন্দিরে বাসা বাঁধে
আদিবাসীদের না বলা কথামালা।


সংবাদপত্রের পাতায় পাতায় রঙ্গীন ব্যানারে,
না দেখা মানুষের না বলা কথা,
খন্ড বস্ত্রে ক্ষুধার্থ শিশু, মায়ের আশা মাখা মুখ,
আবার যাবে ফিরে সবুজ পাহাড়ের গাঁয়ে,
না পাওয়ার হতাশায় নয়,
জীবন সংগ্রামের তাগিদে
বেঁচে থাকার হাজার প্রশ্ন বুকে লয়ে,
আবার আগামী একটি দিনের প্রত্যয়ে।


সভ্যতার কানে কি পৌঁছাবে এই বাণী?


০৮/০২৯/২০১