খবিশ নামের খবিশ বেটা, মুখে তাহার কুলুপ আঁটা,
কথায় কথায় মারে ঝাটা, খবিশ বেটা খবিশ বেটা।
যত্র-তত্র কথা বলেন, জন সভায় হাই যে তুলেন,
সাংবাদিকদের দেখেই জ্বলেন,  খবিশ বলে জিকির তোলেন।
নানা সভায় বিড়ি ফোকেন, চাইয়া চাইয়া সবাই দেখেন,
মনে মনে কেউবা বকেন, সাংবাদিকরা নিত্য লেখেন।
ধমকা-ধমকির রাজা তিনি, গায়ে মোড়ল আপনি মানি,
রাত-বিরাতে খায় কি পানি? সবাই জানি, কানাকানি।
ভদ্র লোকে ভদ্র বেশে, সব কথাতে যায় যে হেসে,
গরীব মরে কেশে কেশে, দেশ যে ভরে যাচ্ছে বিষে!
হুক্কার মধ্যে রঙ্গীন পানি, খাচ্ছে নানা, খাচ্ছে নানি,
বারে নিত্য টানাটানি, এখন নেশার খনি, নেশার খনি।
পকেট ভরে সমাজ কল্যাণ, বসুন্ধরায় বিরাট দালান,
সমাজ কল্যাণ কারা চালান? বিদ্যা-বুদ্ধি ভয়ে পালান!
চারিদিকে নেতা মন্ত্রী, সবাই গায়ক সবাই যন্ত্রী,
থালা-বাসন, কাস্তে খন্তী, এরা সব ষড়যন্ত্রী, ষড়যন্ত্রী।
রাত জাগিয়া করেন কি ভাই, ঘুমের ভানে আপনাকে পাই,
চাইয়া দেখেন খবিশ মশাই, শ্রোতা-দর্শক কেহ তো নাই!
ঘুম তাড়ানোর ঔষধ আছে, সবুজ বাংলার নানা গাছে,
টেংরা-লইটক্যা শুটকী মাছে, কথাটা কি কানে গ্যাছে?
আমার দেশে রাত্রী-সন্ধ্যা, আখেড় গোছায় নানা ধান্দা,
ভালো কেন হচ্ছে বন্ধ্যা? দেবেন জবাব কোন বান্দা?
ছেড়ে দিন না বেশী কথা, ছুড়ে ফেলুন বিড়ির মোথা,
দেশের জন্য খাটান মাথা, তবেই পাবেন সুখের কাঁথা।
                                             ০৮/২৮/২০১৪