ঘরের মেঝেতে মা লক্ষ্মীর শীর্ণ দেহ;
অভুক্ত প্রতিক্ষিত কিছু প্রানের অনাগুনা,
মাছির সনে খেলা করে সময় করে পার
কখনো হাসি, কখনো কান্নার মাতম,
অন্ধ-বধির ঈশ্বরের সীমানা টানা!
সময় বড়ই অদ্ভুত গতির পলায়নে ব্যস্ত।


জাগতিক দেবতার দানে বাঁধা ঘরে,
চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে দেবতার  বারি ধারা,
হাড় কাঁপানো শীতের নোনা জলে
গায়ে মেখে আশীর্বাদের পরশ বুলায় অবশিষ্ট জাতি।


ওপাড়ায় মা দেবীর চিতকার ভাসে,
ভাঙ্গা ঘরের জানালা ভেদে ভীড় করে
ধূপ-ধূনচি, ঢাকের তাল, উলুধ্বনি
কংকালগুলো নেচে উঠে মহানন্দে,
কেউ বুঝি দেবে প্রসাদ
দরজা ভেদে কোন ক্ষণে!!


মায়ের বিদায়ক্ষণে একটি বাড়ন্ত হাত;
ধীরে এগিয়ে যায় মণ্ডপের মাচায়,
না দেখা পুরোহিত ব্যস্ততার ভীড়ে
প্রসাদের থালায় শুন্য প্রার্থনা!
শিশুটি ফিরে শুন্য হাতে, শুন্য ঘরে
মা লক্ষ্মীর বিদায় ক্ষণে।


১০/০১/২০১৪