শীতের হাওয়া লাগল গায়ে, দুর্বা ঘাসের পরশ পায়ে,
নকিব মাঝির ছোট্ট নায়ে, শিশির ভেজা আমার গাঁয়ে।
পিঠা-পায়েস সকাল-দুপুর, উষ্ণ পরশ বুলায় চাদর,
মেঠো পথের পায়ের নূপুর, খুশির হাওয়া বইছে সুদূর।
খালে-বিলে ভাটার খেলা, ডাকছে পৌষের গাঁয়ের মেলা,
ডাকছে আরও যাত্রা-পালা, বাউল- লালন দিচ্ছে দোলা।।


মায়ের হাতের ভাপা-পুলি, স্বাদের কথা কেমনে ভুলি?
মনের মাঝে স্মৃতির তুলি, কোথায় ভোরের জুঁই-চামেলী?
শীতের সকাল আগুন তাপে, হীম শীতলে শরীর কাঁপে,
অলস দেহ টানছে লেপে, উপায়হীনা দিচ্ছে সঁপে।
ঘরে ঘরে ধানে ধানে, বলছে পাখী কানে কানে,
নবান্নের ঐ গানে গানে, শাক সব্জির সবুজ প্রানে।।


আমার দেশের খালে-বিলে, পদ্ম ফুলের ঝিলিক ঝিলে,
শিশু-কিশোর ছুটছে মিলে, পদ্ম ফুলেল আনছে তুলে।
চলন বিলে বকের সারি, কোথায় যাবে? কোথায় বাড়ি?
সন্ধ্যে হলেই উড়ায় গাড়ি, যেতে হবে তাড়াতাড়ি।
এসো বন্ধু আমার গাঁয়ে, ভাসবে তুমি সুখের নায়ে,
সবুজ মেলা ডানে-বায়ে, সবই তুমি যাবে লয়ে।।


১১/২৮/২০১৪