জীবন খাতায়, কলাপাতায় বসত করি আনমনা,
চলার পথে, দ্বৈত রথে, আশার ভেলায় গঞ্জনা।
আশার ভূমে বীজ বুনে যাই, প্রত্যাশাটা বহুদূর!
মেঘের ফাঁকে উঁকি মারে আলোক ঝলক অচিনপুর।
বালুচরে মিছে খেলা, ঘর বাঁধাটা সুখের ছল,
বালকণায় লুকিয়ে থাকা স্মৃতিমাখা নোনা জল!


চিন্তা রাজ্যে উড়ে বেড়াই, রঙ্গীন সূতায় বাঁধা মন,
ইষ্টিশনে সুখের গাড়ি, রয় দাঁড়িয়ে কতক্ষণ?
কেউ দেখা পায়, কেউ ছুটে যায়, কেউ বা শুনে রেলের গান
এই সমাজের অপু-দূর্গা দূরে বসে জুড়ায় প্রাণ।
জীবন রেলে কত জনা ছুটছে বেগে ছুটছে দূর!
ভবের খেলায় হারা-জিতায়, এক ঠিকানায় মিলন সুর।


প্রভুর নামে ভজন গীতে পরপারের রচনা,
জন্মদ্বারে সাধন গুরু লিখে দিলেন ঠিকানা।
লাভ কি বলো আকাশ ছুঁয়ে? মাটির তরে আহ্বান,
কুটির ঘরে সুখের আলো, নিত্য করে সূর্য স্নান।
সময় এখন হাতের মুঠোয়, চলছে হাতের ঈশারায়,
সময় তালে ছুটতে পথে, কেউবা ভুলে দিক হারায়।


মানুষ মারার যাঁতাকলে, বিশ্ব বিবেক টালমাটাল,
খোঁজ কে দেবে পুণ্য পথের? কে ধরিবে তরীর হাল?
যাচ্ছে ক্ষয়ে বিবেক বুদ্ধি, যাচ্ছে ক্ষয়ে মনোবল,
ধর্মের নামে ভন্ড জাতি পান করছে ঘোলা জল!
জাতি-বর্ণ-ধর্ম নিয়ে চলছে হোলির মহোত্সব,
দেখা হবে তোমার সনে, রোজ আসরের বিজয় রব।


০১/১৫/২০১৫