(জাতীর পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে)
তখনো ভোর হয়নি
রাত জাগা পাখি গভীর ঘুমে নিমগ্ন
ঠিক তখন-
একটি শিশুর কান্না, জেগে উঠা সকাল
এক চিলতে খুশির আলো, পাখির কলতান
বলে দেয়,
আমি এসে গেছি, তোমাদের মুক্তির তরে ।


সেই শিশুর তর্জনীর হুংকারে
বজ্রকন্ঠে উচ্চারিত হয়, আর একটা যদি গুলি ছুড়ে---
উল্লাসে জেগে উঠে ভয়ার্ত মানুষ,
বিন্দু থেকে পুঞ্জিভূত প্রতিবাদ সিন্দুতে রূপান্তরিত হয়ে
ঢাকার অলিগলি ছাপিয়ে রমনার রেসকোর্স  ময়দানে
অংকিত হয় সোনার বাংলাদেশ ।


একটি মুজিব একটি তর্জনী, একটি হুংকার-
আর পিছনে তাকাতে হয়নি,
জমি হীন কৃষক, কর্ম হীন শ্রমিক, তেজ দীপ্ত ছাত্র-যুবক
কার ডাকে, কিসের নেশায় ঘর ছাড়ে
কেউ জানে না, জানে শুধু লড়তে হবে, জিততে হবে ।
মায়ের আঁচলে আশার পুজার ফুল
বাবার বুকে গর্বের ভালোবাসা।
ভীত কাঁপে জল্লাদের-পাকীপ্রেমী বন্ধুদের,
সভ্রমহারা নারীদের সবুজ শাড়ির ভাজে
রক্ত দিয়ে লেখা আমার সোনার বাংলাদেশ ।


অবরুদ্ধ মহানায়ক সেদিন মুক্ত হলেন-
হাত শূন্য, বুকে আশার সাগর
কোটি মানুষের ভালবাসায় দেশ গড়ার প্রত্যয়ে
নায়ক হয়ে যায় সেবক।
আবার পূর্বাকাশে কালো মেঘ
বেজন্মা পাকিআত্মা আবার থাবা হাকায়
৩২ নম্বর বাংলাদেশে ।


আমরা বড়ই দুর্ভাগা-
আমরা শুধু নিতে জানি, দিতে জানি না,
আমাদের চাওয়ার হাত এত লম্বা যে
একশ বছরে চোখের পর্দা ভেদ করতে পারেনি ।


ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
সিলভার স্প্রিং