আজন্ম সোহাত পাতি পাতি গা গ্যাছে সয়ে,
ছোট বেলার সাঁঝের সনে মাটির গতরে বিছানা,
নানীর পরস্তার সোহাগে মনটা লাফান দিতো,
ভরা পূর্নিমার হলক রাইতে
গতরে মাখিতাম চাঁদনী পশর,
খোলা হাওয়ায় উড়ায়ে দিতাম সোহাগ মাখা ঘুড়ি।


স্বপ্নের সোহাগ একদিন দিল ছাড়ি,
যৌবনের আঠারোর সীমানা দিলো একদিন ডাক,
সোহাগের দেয়ালে গ্যালাম আটকে
উতলা পিরিতির বানে,
মনটা করে ফালা ফালা, মর জ্বালা, মর জ্বালা।
খাতি পারিনে, হুতি পারিনে, শরম হুদা ডাকে
ভালো লাগে ছন্দমালা মনের মধ্যে আঁকে,
পিতলা পুরুষ কাছে ঘেষে
সোহাগ মুখে হেসে, ওলো আগুনে যে গ্যালো পিষে!


সোহাগ মাঝে লাথি মারে, যায় কিছু বলা?
তবুও সোহাগের পরশে আন্ধারী জীবন,
থালা-বাসনের সোহাগে যায় মাতি।
মাঝ রাতে বিড়াল চোখ মারে ডাক,
শক্ত বিছানা রাখে আগলে, ভালোবেসে।


একদিন পথের ঠিকানায় লিখে উড়ো চিঠি,
প্রাপকের ঠিকানা বহুদূর,
ইষ্টিশানের শেষ বেঞ্চিটায় বাঁধে ঘর
সোহাগের আবেশে।


০৮/১১/২০১৪