শরীর টা ভাসিয়ে দিলাম
নদীর স্রোতে,
মনটাকে দিলাম ছেড়ে
নীল আকাশে,
বাতাসে ভেসে আসে
ফুলের সুবাস,
বসে আছি অপেক্ষায়
অজানার খোঁজে।


বাইরের জানালাটা খুলে দিই
মুক্তির বাতাস ঢোকে,
দক্ষিণের বারান্দায় বসে থাকি
সকালের সূর্যালোকে,
বাগানে ঘাসের সবুজ গালিচায়
হাঁটি খালি পায়ে,
অলস দুপুরে রবীন্দ্রসঙ্গীতে
নিদ্রা আসে চোখে।


পাহাড়ের সেই গভীর খাদে বহমান
মনের ইচ্ছে নদী,
সেই শ্যামলা শ্যামলা বনানী
দিচ্ছে হাতছানি,
ভাসছি উঁচু আকাশে রাইডিং
নিচে তুষার উপত্যকা,
তীরে বিশাল সমুদ্রের তোলা ঢেউ
মাঝ সমুদ্রে বিলীন।


মেঘে ঢাকা কত পাহাড়ের চূড়ায়
নিজেকেই ফেলি হারিয়ে,
বনানীতে হরিণের চোখের ভাষায়
খুঁজে পাই শুধু আমাকে,
সেই বৃষ্টির রিমঝিম অন্ধকার রাতে
ভিজতেই থাকি,
সোনাঝরা রোদ্দুরে বালুকা বেলায়
আমি আলস্যে শুয়ে থাকি।


আমার ভালোলাগা উপজাতি দ্বীপে
সারল্য, স্বাধীন জীবন,
তাদের আত্মনির্ভরতা, নির্ভিকতা
মানুষের পরম সম্পদ।
এই পৃথিবীর দলাদলি স্বার্থপরতা
কখনোই পছন্দ নয়,
সারাক্ষণ খুঁজি বন্ধুত্ব, ভালোবাসা
কলহ হিংসা নয়।