ঠিক কি কি করলে মনটা ভালো থাকবে
এটাই এতক্ষণ চিন্তা করছি বসে বসে।


যদি উঁচু উঁচু পাহাড় চূড়ায়, ঘন মেঘে,
পিছল পাহাড়ি রাস্তায় ভিজে ভিজে,
শুনতে শুনতে কোন ঝর্ণা ঝরার পথে,
শ্যাওলার সোঁদা সোঁদা মোহিনী মায়াতে-
বার বার যেতাম হারিয়ে, উদাসীন আবেগের বশে।

আচ্ছা যদি এমন হতো, আকাশে ভাসতে ভাসতে
দূর দূর দেশ থেকে উড়ে আসা পাখিদের সাথে
আমিও যেতাম চলে উড়তে উড়তে,
নীল আকাশের, সাদা সাদা মেঘ মল্লারে-
টুকি টুকি খেলতাম পাখিদের সাথে।


অথবা আদিবাসী গ্রামে, মহুয়ার রস খেতে খেতে
দ্রিম দ্রিম মাদলের বোলে, নাচের সঙ্গে
আমিও মাতাল হতাম, তালে তালে নেচে,
একটু একটু করে সম্বিত হারিয়ে,পড়তাম শুয়ে,
রঙিন স্বপ্ন দেখে দেখে, রাত যেত ভোর হয়ে।


কিংবা সারি সারি ঝাউবনের ধারে
হাঁটতে হাঁটতে, বালি মেখে সমুদ্রের তীরে,
দেখতাম, মুঠো মুঠো লাল আবির ছড়ানো দিগন্তে
ক্রমে ক্রমে পরিপূর্ণ সূর্য হয়ে ওঠা,
লাল লাল কাঁকড়ার দ্রুত আনাগোনা।


এসব ছাড়াও,.. এমনি এমনি, ভালো থাকা যায়,
যদি ইজিচেয়ারে দুলতে দুলতে,
বারান্দায় তারাদের, মিটি মিটি আলোতে,
একটা আবছা আবছা পরিবেশে-
রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে শুনতে, যাই হারিয়ে।