দাদু থাকেন খাটেই শুয়ে, শরীর ভীষণ খারাপ,
হাঁটতে গেলেই টলে পা টা, পড়েন ধপাস ধপাস,
কাশির ব‍্যামোর ওষুধ খেয়ে, ঘুমান সারা রাত,
বাতের ব‍্যাথায় মাঝেমঝেই, সটান কুপোকাত।
আলমারিতে রাখেন টাকা, কোমরে চাবি বাঁধা,
দরজা জানলা বন্ধ করে গুণতে থাকেন টাকা।


চির যুবক বনবিহারী ফাইফরমাশ খাটে,
বৌমারা সব মিটিং ক'রে, সন্ধ‍্যে বেলা ছাদে,
দাদু কে দেখা শোনার জন‍্য বিহারীকেই রাখে।
দুপুর বেলা দাদু যখন ঘুমিয়ে অচেতনে,
নতুন চাবি বানিয়ে আনে, দাদুর চাবি নিয়ে,
পুরোনো চাবি সন্তর্পণে, রাখে যথাস্থানে।


কদিন পরে দাদুকে নিয়ে, বিহারী যায় বাগানে,
বৌমারা সব গলদ ঘর্ম, আলমারী খোলে না যে!
সময় কাটে নানান প‍্যাঁচে, বন্ধ পাল্লা বন্ধই থাকে,
এমন সময় বিহারী আর দাদু ঢোকেন ঘরে।
নতুন চাবি হাতে নিয়ে, দাদু হাসেন হো হো করে,
বলেন: এইটি খুলতে কিন্তু দুইটি চাবি লাগে।


এই আসরের আমার অত‍্যন্ত প্রিয়, শ্রদ্ধেয় কবি শ্রীযুক্ত জগদীশ চন্দ্র মণ্ডলের রম‍্য রচনা গুলি পড়ে, অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা।
তাই কবিতাটি শ্রদ্ধেয় কবি শ্রীযুক্ত জগদীশ চন্দ্র মহাশয়কেই উৎসর্গ করলাম।