শুকনো নদীর চরে কাশফুলের ঝাড়,
আগমনীর আগমন বার্তায় মাথা হেলায়,
নীল আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা।
দীপের মনটা খুশিতে মাতোয়ারা হলো,
পুজোয় ঠাকুর দেখতে পারবে জমিয়ে,
রোজ এক একটা নতুন জামা পড়ে।
ভোরের শিউলি ফুলের সুবাস হাওয়ায় ভাসে,
মণিকাকারা, বস্তা ভরে জিনিস আনে ট্রেনে করে,
রামদাদুর দোকান থেকে এবার একটা বন্দুক কিনেছে,
পুজোয় তার জন্য পুলিশের ড্রেসও কেনা হয়েছে।
অষ্টমীর দিন ঐ ড্রেস টা পরে অঞ্জলি দেবার খুব ইচ্ছে,
কিন্তু দাদু যে একটা নতুন পাজামা পাঞ্জাবী এনেছে।
হঠাৎ একটা ঠ্যালা খেয়ে ঘুম ভাঙে দীপের,
ভ্যাবলা হয়ে উঠে বসে, মেসের সবাই হাসছে।
খবরকাগজে কোলকাতার পুজো এবার হেরিটেজ,
থিমের প্রতিযোগিতায় খরচ লক্ষ লক্ষ টাকার।
দীপের মনটা নাচে, কাল ষষ্ঠীতেই তো বাড়ী যাবে,
আচ্ছা শুধু কোলকাতার পুজো কেন হেরিটেজ হবে?
[ইউনেস্কোর তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র কলকাতার দুর্গাপুজোকে (Durga Puja in Kolkata) হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে।]
জীবনবোধের সুললিত কাব্য।
অনেক সুন্দর একটা কবিতা সৃষ্টি করেছেন সম্মানিত কবি।
অপার মুগ্ধতার সাথে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রেখে গেলাম।
ভালো থাকুন পরিবার পরিজন নিয়ে।
দারুণ প্রশ্ন রেখেছেন কবি।
তবে কি দুর্গা কলকাতার আলাদা আর জেলার আলাদা এবং অন্যান্য প্রদেশের ও আলাদা। নাকি আরো অন্য প্রভাব ! এখানেও ডিভাইড এন্ড রুল !
ভালোলাগা রেখে গেলাম কবি।
শুভেচ্ছা নিরন্তর, ভালো থাকবেন।
আপনার মতই আমি বা আমরাও অনেক এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজি... কিন্তু ওই খোঁজাই সার হয় বাস্তবের কঠোর কঠিন জগতে। একমাত্র কবিতাই পারে বার বার উত্তরহীন প্রশ্নমালা সাজিয়ে রাখতে, আসলে প্রশ্নের রূপকে ওরাই তো মানুষের বিবেকবোধ। শুভেচ্ছা রইল কবি।
রবিঠাকুর যদি বেশি বৃটিশবিরোধী হতেন, নোবেল পেতেন না। আচ্ছা বেশ কিছুদিন ধরে কি গোটা ভারত এর মধ্যে কোলকাতাকে মার্কিনীরা বেশি "ভালবাসছে"? তাই মনে হচ্ছে।
শুভকামনা সতত, সম্মানিত কবি।
জীবনবোধের এক অসাধারণ প্রতিবাদী রচনা। হার্দিক
শুভেচ্ছা জানাই কবিবর। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
সেই তো!! শুভকামনা রইল প্রিয় কবি।
গ্রামবাংলার দুর্গাপুজোয় বাইরের আড়ম্বর প্রায় না থাকার সমান,থাকে আন্তরিকতা।সকলের সাজ সাজ রবে মনে হয় নিজের মা আসছেন।
সেখানে শহরে শুধুই শো-বাজি।
পাকিস্তান ও আরবের দুর্গাপুজোয় উর্দুতে চণ্ডীমন্ত্র উচ্চারিত হয়।যেখানে মা দুর্গা সারা বিশ্বে বন্দনা পান,সেখানে কলকাতাই কেন দুর্গাপুজোর লিজেন্ড হবে কবির এটাই প্রশ্ন।এক পঙতির প্রশ্নবোধক এক সভ্য প্রতিবাদে এই কবিতা উদ্ভাসিত।
সাধু সাধু***
পুজা নিয়ে সুন্দর কবিতা। পরিবারের সকলকে নিয়ে আনন্দে কাটুক আপনার পুজোর দিনগুলো।
শারদীয় শুভেচ্ছা প্রিয় কবি।
অসাধারণ প্রতিবাদী জীবনবোধ ফুটে উঠেছে শৈল্পিক কাব্যে। পাঠে মুগ্ধতা ছড়ানো অনুভূতি জাগে শ্রদ্ধেয় প্রিয় কবি। আপনার জন্য শুভকামনা অফুরন্ত।
বাংলার কেন- বিশ্বের বাঙালি(সনাতনী), তাঁরা অনেক কিছু পালটাতে পারে, যেমন- 'দিদির রূপ দুর্গা' ! কেহ কেহ পূজোও করে ছেড়েছেন ! "হেরিটেজ" রূপে পূজো এমন আশ্চর্য কী ?
সুন্দর প্রতিবাদী কাব্যশৈলীতে , তার মহত্ত্ব, কাব্যভাব প্রকাশ , মুগ্ধ ।
শুভবৈকাল , প্রিয়কবিকে অশেষ শুভেচ্ছা জানাই, ভাল থাকুন সদা ।
কাঠঠোকরার ঠোকরের মতো হৃদয়ে ঠোকর মারে এইসব আনন্দ হুল্লোড়। কেননা পূজো বলে কিছু নেই, এ যেন দেশ আর জীবনের টানাটানি। একটা মানসিক অস্থিরতা আর সব পাওয়ার বাসনায় গুটিকয়েক লোকের চিন্তায় ভাগ হয়ে যাওয়া দেশের আনন্দও বোধ হয় করতোয়া নদীতে ৬৮ জনের জলডুবিতে ক্ষান্ত হবে না। অনাগতদিনগুলিও সাঁতরাবে মনের ভেতর। তাই আমার কোন সুখ হেরিটেজ সুখের বলে মনে হয় না। মানুষ হয়ে পৃথিবীতে মানুষ ধর্মকে জাগাতেই যদি না পারলাম আর, জন্ম নিলাম কেন কবি?
কলকাতার দূর্গাপূজো হেরিটেজ তালিকায় ; এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারএ বাংলাদেশী ও ধর্মের সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যাপক মন্তব্য না করলেও 'হেরিটেজ' শব্দটার সাথে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর গড়া কলকাতা কোন অর্থে হেরিটেজ, মনটা ভারী হয়ে গেলো।
বিরহী কবির ভাবনায় আবেগঘন নান্দনিক ও রম্য পরিবেশনে বিশাল বাংলা ভূ-খণ্ডের অন্তর কেঁদে উঠে।
অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন, প্রিয় কবি।
ইউনেস্কোও মনে হয় গাঁজা টাজা খেয়েছে! কী জানি আমাদের এই বাংলার সব অফিসারদের মতো ওরাও ঘুষখোর কিনা! প্রকৃতির রং মাখিয়ে মায়ের আগমন বার্তার সাথে অপূর্ব প্রতিবাদী কবিতা! দারুণ মুগ্ধ হলাম প্রিয় কবি! অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।