আজ ভোরের আকাশটা, অন‍্যরকম হতে পারত,
এই একঘেয়েমি বৃষ্টি, টিপ টিপ করে যদি না পড়ত,
যদি হত, সেই শরৎ কালের  ঠাণ্ডা ভোর শিশির স্নাত,
সবুজ ঘাসে, শ্বেত শুভ্র শিউলি ফুলের আস্তরণ,
নীল আকাশে, টুকরো টুকরো সাদা মেঘের বিচরন,
বাতাসে ভেসে আসা, চির প্রতিক্ষিত আগমণী গান।


আজ যদি শ্রাবণ ধারায়, নদীতে প্লাবন না হত,
বাড়ির সামনের রাস্তাটা, যদি জলে ডুবে না থাকত,
যদি বসে থাকতাম, বন‍বিথী সংলগ্ন ছোট্ট কুটিরে,
এক পাল নিরীহ হরিণ শিশুদের খুনসুটি দেখে-
ছুটে যেতাম, সেই বৃষ্টিস্নাত মাটির সোঁদা সোঁদা গন্ধে,
মেঘমল্লার এর ঝঙ্কারে, বন‍্য ময়ুরীর নাচ দেখতাম।


আজ যদি আকাশে, মেঘের ঘনঘটা না থাকত,
আকাশ চিরে হুহুঙ্কারে, অহরহ বজ্রপাত না হত,
পথের পাঁচালির কয়লার ইঞ্জিনের রেল গাড়িতে চড়ে,
দুপাশে গ্রাম বাংলার ধানক্ষেতের মাঝখান দিয়ে-
চলতে চলতে দেখতাম, বৃষ্টিভেজা অপু, দূর্গাদের,
আস্বাদ নিতাম, সেই গ্রাম‍্য বাংলার নিষ্পাপ মানসিকতার।