বসন্ত ছিল, ছিল দখিনা বাতাস,
ছিল রাত জাগা জ্বালাময় ক্লান্ত নিঃশ্বাস,
অবসন্ন ভোররাতে একটু বিশ্রাম,
এরই মাঝে ছিল এক বাঁচার সংগ্রাম।


মানসিক শক্তির প্রাচুর্য নিয়ে,
প্রখর মস্তিষ্কে দিনযাপন চিরপরিচিত হাস‍্যমুখে,
কিন্তু ক্ষমতার অভাব প্রকটিত হচ্ছিল জীর্ণ শরীরে,
বেঁচে থাকার আশা তখন নিতান্তই একপেশে।


সেই অন্তিম সময়ে মুষ্টিবদ্ধ দুহাতে,
ছিল আজন্ম লালিত সংগ্রামের পাথেয়,
বলে গেল, কঠিন জীবনে মৃত‍্যুই শেষ কথা নয়,
তার পরেও থেকে যায়, কর্মময় বাসনার সজীব অধ‍্যায়।


কটা দিন তাও কেটে গেল,
রোজ রাতে তারাদের দেশে, ওঠে শোরগোল,
তারই মাঝে সারারাত কান পেতে শুনি-
দূর থেকে ভেসে আসা সেই কোলাহল,
কল্লোল, কল্লোল, কল্লোল, কল্লোল।


পরিচিতি:
কল্লোল ভট্টাচার্য্য আমার ভাই, গত ১১ই এপ্রিল দুপুরবেলা, সমস্ত প্রিয়জনদের শোকস্তব্ধ করে, চলে গেছেন চির শান্তির দেশে।
কল্লোল ভট্টাচার্য্য  ২০১৯ সালে স্টেট ব‍্যাঙ্ক অফ ইণ্ডিয়ায় কোলকাতার কলুটোলা শাখা থেকে অবসর গ্রহন করেছিলেন।
তিনি একজন কবি এবং আবৃত্তিকার ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি "কলিকাতা লিটল ম‍্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র" (১৮/এম, ট‍্যামার লেন, কলিকাতা-৭০০০০৯) এর কোষাধ‍্যক্ষের পদ অলংকৃত করেছিলেন, এবং সক্রিয় ভাবে সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন।
"কল্লোল সাধদেব" ছদ্মনামে, তাঁর লেখা কয়েকটি কবিতার বই: "ধারাবিবরণী", "নাগার্জুন", "হীরক জন্ম", ইত‍্যাদি।