সকাল থেকেই ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি,
মনকেমনের সেই শুরু,
হালকা হাওয়ার বর্ষার সতেজতা, চৈতন‍্যে মেঘদূতম,
ইলিশের গন্ধের মৌতাত ভেসে আসছে,
পাশের বাড়ি অলকাপুরী থেকে,
আজ আবার রাতে খাবার নিমন্ত্রণ আছে সেখানে।
বৃষ্টিটা এখন থেমে গেছে,
এক কাপ চা, পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকানে,
ভোকাট্টা হয়ে মনটা ভাসতে লাগল, লাট খেতে খেতে।


দিনফুরোনোর বেলা, সূর্য তখন অস্তাচলে,
সব পেয়েছির হাটে, শেষ বেলায়,
দর কষাকষির খেলায়,
কেউ জিতছে কেউ হারছে।
এসেছি অবেলায় আমিও, এক চালচুলোহীন বাউণ্ডুলে,
আমার কিছু কেনার ইচ্ছে নেই,
তবু নেব, সেরকম কিছু পেলেই,
একান্ত আমারই সৃষ্ট, নেইপরোয়া ক্লাবটির জন‍্যই,
যেখানে নিরবচ্ছিন্ন সভ‍্য তথা সভাপতি শুধু আমিই।


সন্ধ‍্যার অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে,
কেনাবেচা শেষ করে সবাই বাড়ির পথে,
বাসায় ফেরা পাখিদের কিচিরমিচির গাছে গাছে,
রাস্তার বাতিগুলো এক এক করে জ্বলে উঠছে,
আমিও ফিরছি, কিছুই না কিনে।
এখন মনে পড়ল, নিমন্ত্রণ আছে অলকাপুরীতে,
কিছু না নিয়ে গেলে, যক্ষপ্রিয়া কি দুঃখ পাবে?
বিষন্ন মনটা নিয়ে, যেতে যেতে ভাবছি,
এইরকম কত কথার মরণ হলে , কথকতা হয়?


সৃজন - ২২/০৭/২০২২
অতিত দেখার টাইম মেশিনে সময়কাল: জুলাই১৯৭৭
কাল্পনিক নাম: অলকাপুরী, যক্ষপ্রিয়া
মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত কাব‍্য থেকে নেওয়া।