যখন রাতের আঁধার টা, বুকের ওপর চেপে বসে,
দূর থেকে ভেসে আসে ঝিঁঝিঁ পোকার ঐকতান,
সারাদিনের অসফলতা, আস্থাকে তছনছ করে-
সুস্থ চিন্তাকে চরম অসহায়তায় করে বিধ্বস্ত,
সেই অবর্ণনীয় অসহনীয় দমবন্ধ করা পরিবেশে
চাঁদের স্নিগ্ধ আলোর সাথে মৃদু বাতাসের স্পর্শ-
সুপ্ত ইন্দ্রিয়গুলো কে ক্রমশই সম্মহিত করে
পৌঁছে দেয় এক অলীক মোহময়ী স্বপ্নালোকে।


সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে নিজস্বতা বিসর্জিত,
চিতাবাঘের নিষ্ফল প্রয়াসে, হরিণের জর্জরিত দেহ।
ক্ষুধা তৃষ্ণা ভুলে, জীবিকার জন্য, জীবনের যুদ্ধ,
ক্লান্ত শরীরটাকে, টেনে হিঁচ্‌ড়ে গৃহে প্রত্যাবর্তন।
সেখানে অপেক্ষায় বসে আছে পুরো পরিবার,
কৃত্রিম খোলসে ঢেকে, গ্লানিময় নিজস্বতা
হাসিমুখে পরিবারে ঢুকে যাওয়ার নির্মম চরিত্র,
সাদা রজনীগন্ধার সুবাস নিয়ে আসে অন্তিম বার্তা।


ফিরে আসুক সেই সোনাঝরা নির্মল কৈশোর
আবার বন্ধুর কাঁধে হাত দিয়ে হারিয়ে যাওয়া
দলবেঁধে ফুটবল খেলা, পুকুরে উদ্দাম সাঁতার,
সেই চাঁদ, সেই সূর্য, একই তো রয়েছে চিরদিন,
দিন, রাত্রি, শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, এরাও তো অমলিন,
শুধু প্রাণের বিবর্তনে হারায় শৈশব, কৈশোর,
বেঁচে থাকার বাস্তবে নিষ্পেষিত প্রৌঢ়ত্ব, বার্ধক্য।


ভালো সময়, ভালো পৃথিবী, হয়ো না পুরোনো।