কবিতা লিখতে ভালো লাগে না মাঝে মাঝে,
নিগৃহীত মানুষের কান্না, কানে অহরহ বাজে,
চারপাশের অবস্থার অবনতি দেখে-
কীবোর্ড এ আঙুল ছোঁয়ালে রেরিয়ে আসে-
দলা পাকানো অন্তরের বেদনার নোংরা যন্ত্রণা।


আমার অন্তরের বেদনায় লেখা কবিতায়-
দূষিত করতে চাই না,পাঠকের রঙীন পৃথিবী,
যেখানে আকাশে থাকে, পাখিদের চলমান আলপনা,
সূর্যোদয়ের লাল দিগন্তে মাছধরা ডিঙির ওঠানামা,
মিলনের অপেক্ষায় থাকে, অন্তরের নিভৃত বাসনা।


আমার অন্তরের উথালি পাথালি ঢেউ-
আছড়ে পড়ে বাস্তবের কঠিন পাথরে,
যেখানে সর্বস্বান্ত মানুষেরা বসে আছে, দৃষ্টি পরপারে,
দুরাশার কালো মেঘে, আশার সূর্য গেছে ঢেকে
কঠিন প্রত‍্যয়ে দ‍্যাখে সামনের রাস্তা শেষ আত্মহননে।


কেন এই অবস্থান, যারা ছিল সচ্ছল সুখী গৃহকোণে-
কার সম্পদের ব‍্যাপ্তিতে, নিয়ে গেল সবকিছু কেড়ে?
আমার দৃষ্টিতে, প্রত‍্যক্ষ প্রমাণ সব সারি সারি আসে,
সুস্থ করার ব‍্যবসায়, কেন নিঃস্ব করে মানুষকে?
ক্ষমতার বৃদ্ধি হয়,  নিরীহের কষ্টার্জিত অর্থ লুন্ঠনে-
কেন কবিতা ছেড়ে, পারি না, বন্দুক তুলে নিতে?