কোনও কারণ ছাড়াই দিনটা বাজে গেল,
এটা তো জোর করে হারিয়ে দেওয়া হল।
চরম অপদস্থ হয়ে মনের ক্ষতটা জ্বলছিল,
একটু শান্ত হতেই তো কয়েকদিন লাগল,
পরাজয় তো কোনোদিন মেনে নিতেই হয়,
কেউ কি কোনদিন হতে পারে অপরাজেয়?


হতভাগ‍্য কবির কলমে প্রতিফলিত;
মানসিক বিতৃষ্ণার যন্ত্রণা,
অন্তরের হতাশায়, যা ছিল সযত্নে লালিত:


মজদুর, কিষাণ এসো, এসো পরিযায়ী,
হতভাগ‍্য, সর্বহারা, এসো হে সংগ্রামী,
অন্তরের ধিকিধিকি আগুনটা, নেভেনি এখনও,
সমবেত শক্তি যা আছে অবশিষ্ট, পুঞ্জিভূত করো,
সামনে যা কিছু অনৈতিক, হবে টুকরো টুকরো,
আবার আনন্দ হাসিতে জীবন হবে পরিপূর্ণ।


ইতিহাসে দেখো, নৈতিকতা হারেনি কখনও,
অনৈতিকতাও, একেবারে মোছেনি কখনও,
তাও হয়তো কিছু ভালো দিন, আনবো আমরাও,
হয়তো আবার ভয়হীন, ডরহীন, বাঁচবো আমরাও।
নতুন প্রভাতের সূর্য, অপার আনন্দ এনে দেবে-
মানবিক মুখের ভিড়ে, জীবনটা পরিপূর্ণ হবে।


অথবা শহীদ হয়ে, জীবনপণ সংগ্রামের শেষে,
অক্ষয় অমর কিছু মানবিক স্মৃতি যাব রেখে,
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে।
না হারা সংগ্রামের বীজ অঙ্কুরিত হবে,
চলমান বংশ পরম্পরায়, অনাদি অনন্ত কাল ধরে,
যতদিন নৈতিকতার আলোকের প্রতিবিম্বন না ঘটে।


অশক্ত শীর্ণ দীর্ণ ভঙ্গুর দেহ মন,
পিঠে চাবুকের দাগ, অনাহারে প্রাপ্তি মৃত‍্যুভীতি,
নুব্জ দেহখানি নিয়ে, তাও স্বপ্ন দেখে চলি-
আঙিনায় খেলা করে, নির্ভিক নিঃশঙ্ক শিশু দুটি,
সুঠাম বলিষ্ঠ দেহে, নেই কোনও আতঙ্কের স্মৃতি,
সন্ধ‍্যা হলো, গৃহবধুরা বাজাও মানবতার শঙ্খধ্বনি।