যে বাসনার পথ চেয়ে, অন্তহীন প্রহর গণনা,
ক্ষীণ হতে ক্ষীণতর, সকাতর হৃদয় প্রার্থনা,
ছত্রে ছত্রে কণ্টকিত, অযাচিত নিরস করুণা,
উপেক্ষার আঘাত হানা, অব্যক্ত নীরব বেদনা,
সে এক হতাশার, বঞ্চনার, করুণ সুদীর্ঘ বর্ণনা।
সে বর্ণনায় পরিপূর্ণ, অসহনীয় জঠর যন্ত্রণা,
দোমড়ানো মোচড়ানো বহু দুরাশার, সত্য কল্পনা,
জর্জরিত অবচেতনে জাগ্রত, মৃত্যু উপাসনা।


অবশেষে এসেছিল, প্রতীক্ষিত সাফল্য সংবাদ,
নিঃশব্দ নদীর স্রোতে ডেকেছিল, উচ্ছ্বাসের বান,
আঁখি পল্লবের বাঁধ, ভেঙ্গে হয়েছিল খানখান,
আনন্দের অশ্রুধারা, মুখমণ্ডলে সদা বহমান,
অবিশ্বাসী মন ততক্ষণে, করেছিল আত্মসমর্পণ।
সে উচ্ছ্বাসে উচ্ছ্বসিত, প্রাণমন বিকশিত হিয়া,
হৃদয়ের অন্তঃস্থলে উদ্ভাসিত, প্রজ্বলিত দিয়া,
কাল যামিনীর অবসানে, শুরু সাফল্য বন্দনা।


যে পক্ষী বন্দি ছিল পিঞ্জর বন্ধনে,
মুক্তির আস্বাদনে, অপহৃত নীল নীলিমাতে,
পর্বত শরীরে শুষ্ক যত ধারা ক্ষতে,
বরষার আগমনে ঝর ঝর, ঝরে গিরিখাতে,
শুষ্ক শস্য ক্ষেত্রে বীজ হাহাকার করে,
বারীশ ধারায় ক্ষেতে, শ্যামলিমা দোলে,
অপ্রাপ্তবয়স্ক মন, রুদ্ধ ছিল সমাজের রোষে,
প্রাপ্ত বয়সের সাথে, উদ্দাম ডানা মেলে ওড়ে।


অভ্যন্তরে  অন্তর্হিত,  না পাওয়ার লালিত বেদনা,
সাফল্য গহিন মনে, সযতনে আঁকে আলপনা,
দূর দূরান্ত ভাসে, আনন্দের মুক্ত বাতাসে,
শত্রু মিত্র ভেদাভেদ, আজ নিক্ষিপ্ত আকাশে।
আনন্দ ঝংকার তুলে, মনোবীণা বাজে,
ময়ুরী পেখম মেলে উল্লসিত, হৃদয়ের মাঝে,
সংকোচ, বিহ্বল মুক্ত, উদ্ভাসিত চোখে,
নিজেকে নতুন রূপে নিরালায়, নিজেকেই দ্যাখে।