আমিই করেছি আমাকে অপমান।


অনেক চিন্তার মাঝে
বেছেছিলাম এক নির্দিষ্ট পথকে,
যে পথের গন্তব্যে ছিল, আমার বুভুক্ষার অবসান,
পথেতে আবৃত ছিল, গোলাপের রাশ,
সে পথে অহরহ দেখা যেত ময়ুরীর নাচ,
পার্শ্ববর্তী বৃক্ষ রাজী সারি সারি সুউচ্চ মহান,
পথ গিয়ে শেষ হতো নদীর ঘাটেতে,
ঘাটেতে ময়ূরপঙ্খী, ফেরি পারাপারে।


বাস্তবের গন্তব্য যাত্রায়, মেলেনি কিছুই।


আমার গন্তব্য পথে পেয়েছিলাম,
দীর্ণশীর্ণ আঁকাবাঁকা, সংকীর্ণ অরণ্যের পথ,
সে পথে বিছানো ছিল জঘন্য আক্রোশ,
হিংস্র শ্বাপদ কুল, ওত পেতে ছিল অপেক্ষায়,
আনাচে কানাচে ছিল, ফণা তুলে বিষধর সাপ,
সে পথেই ছিন্নভিন্ন হয়েছিল, আমার নরদেহ।


আমার সিদ্ধান্ত আজ,
প্রশ্নের মুখোমুখি, আমার আত্মার।
চুলচেরা বিশ্লেষণে, কি কি ছিল চিন্তার ভুল,
কেন দিতে হল আমার আত্মাকে,
দেহত্যাগের চরম মাসুল?


আমার বিদেহী আত্মা, আজ ঘৃণা ভরে পরপারে,
পার্থিব জীবনের সিদ্ধান্তের, অবমাননা করে।


আমি অপমানিত, আমারই পার্থিব শরীরে।